
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি ফাটল ধরছে শাসক মহাযুতি জোটে? এই প্রশ্ন আরও জোরালো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের অনুপস্থিতিতে। শুধু অজিত পাওয়ার নন, তাঁর দলের কোনও নেতাকেই দেখা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর সভায়।
বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে বিজেপি, শিবসেনা (শিন্ডে) এবং এনসিপির (অজিত গোষ্ঠী) মহাযুতি জোট তত দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে অনেকে দাবি করছেন। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় শিবসেনা নেতা তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ধে, বিজেপি নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ উপস্থিত থাকলেও আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ছিলেন না। কেন তিনি এই সভায় উপস্থিত ছিলেন না তাও জানা যায়নি।
মহারাষ্ট্রে অজিত গোষ্ঠীর প্রধান ৩ নেতা নবাব মালিক, সানা মালিক এবং নিহত বাবা সিদ্দিকির পুত্র জিশান সিদ্দিকিকেও দেখা যায়নি সভায়।
এর আগে বিজেপির স্লোগান নিয়েও আপত্তি জানান অজিত পাওয়ার। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় তাঁর অনুপস্থিতি মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে একাধিক গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনা নির্বাচনের আগে শাসক জোটে ফাটলের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে মহারাষ্ট্রে প্রচারে এসে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দেওয়া স্লোগান 'বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে'-র প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছিলেন অজিত পাওয়ার। তিনি বলেন, 'অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখানে এসে স্লোগান দেন 'বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে'। আমরা সরাসরি এর বিরোধিতা করছি। কারণ এমন স্লোগান উত্তরভারতে হয়তো কাজে দিতে পারে। কারণ সেখানকার রাজনৈতিক পরস্থিতি আলাদা। মহারাষ্ট্রের এই স্লোগানের প্রয়োজন নেই। আমরা আম্বেদকরের নীতিতে বিশ্বাসী। শুধু আমি নই। এনসিপির সমস্ত নেতা, এমনকি বিজেপি নেত্রী পঙ্কজা মুন্ডেও এর বিরোধিতা করেছেন।"
যদিও পাওয়ারের এই মন্তব্যের জবাব দিয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তিনি বলেন, "বিরোধীরা একদিকে মুসলমানদের মেরুকরণ করেছে এবং অন্যদিকে হিন্দুদেরকে বিভক্ত করছে। তাই আমি মনে করি 'বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে' ও 'এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়' স্লোগান দুটি ঐক্যের জন্য এবং ইতিবাচক স্লোগান। এতে কোনো ভুল নেই"।
মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনে নির্বাচন হবে এক দফাতেই। আগামী ২০ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। ফলপ্রকাশ হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্রে মোট বুথ এক লক্ষের বেশি। সেই সংখ্যা ১,০০,১৮৬। ওই রাজ্যে মহিলা চালিত বিশেষ বুথ হবে। সেই সংখ্যা ৩৮৮। শহরে বুথের সংখ্যা ৪২,৬০৪। গ্রামে বুথের সংখ্যা ৫৭,৫৮২। মোট ভোটারের সংখ্যা ৯.৬৩ কোটি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন