

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে জোরদার প্রচারে নেমেছে সিপিআইএম। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট রাজ্য বিধানসভায় এক দফায় ভোটগ্রহণ আগামী ২০ নভেম্বর। রাজ্যের বিরোধী পক্ষ মহা বিকাশ আঘাদির অংশীদার হয়ে এই নির্বাচনে ৩টি আসনে লড়াই করছে সিপিআইএম।
সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য এবং সারা ভারত কৃষক সভার সভাপতি অশোক ধাওয়ালে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য এই ৩ কেন্দ্রে একাধিক জনসভা করা হচ্ছে। এছাড়াও ছোটো ছোটো সভার মাধ্যমে জনসংযোগের কাজ করা হচ্ছে।
যে তিন আসনে সিপিআইএম লড়াই করছে সেগুলি হল দাহানু (এসটি), কল্যাণ (এসটি) এবং সোলাপুর সিটি সেন্ট্রাল। যদিও যে ৩ আসনে সিপিআইএম লড়াই করছে তার মধ্যে সোলাপুর সিটি সেন্ট্রাল আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেসও। এই কেন্দ্রে অন্য প্রার্থী হলেন বিজেপির। অন্য দুটি আসনে সিপিআইএম-এর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুতি প্রার্থীরা।
বর্তমানে মহারাষ্ট্র বিধানসভার দাহানু কেন্দ্রের সিপিআইএম বিধায়ক বিনোদ নিকোলে। তিনিই এবারেও সিপিআইএম প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির বিনোদ সুরেশ মেধা প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়াও এই কেন্দ্রে রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার বিজয় দেবজী ওয়াদিয়া প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থী আছে বিএসপি এবং বহুজন বিকাশ আঘাদি দলেরও।
কালওয়ান কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জিভা পান্ডু গাভিট। যিনি অতীতে একাধিকবার এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। এই কেন্দ্রে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এনসিপি অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর নীতিন পাওয়ার। এছাড়াও এই কেন্দ্রে বিএসপি প্রার্থী আছেন।
সোলাপুর সিটি সেন্ট্রাল কেন্দ্রে প্রাক্তন বিধায়ক নারাসাওয়া আদম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি ওই তিনবার ওই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন এবং এলাকায় আদম মাষ্টার নামেই পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী দেবেন্দ্র কোঠে এবং কংগ্রেস প্রার্থী চেতন নারোটে। এছাড়াও প্রার্থী আছে মিম-এর।
সিপিআইএম মহারাষ্ট্রের নেতৃত্বের বক্তব্য অনুসারে, ২০১৯ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে দাহানু কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হয় সিপিআইএম। আগে এই কেন্দ্রের নাম ছিল জওহর। ১৯৭৮ সাল থেকে হওয়া নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে ১০ বারের মধ্যে ৯ বার জয়ী হয়েছে সিপিআইএম।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই অঞ্চল ১৯৪৫ থেকে ১৯৪৮ সালে যে আদিবাসী সংগ্রাম হয়েছিল তার কেন্দ্রস্থল এবং এই অঞ্চলে সারা ভারত কৃষক সভার ভালো প্রভাব আছে। এই অঞ্চলে সিপিআইএম সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন প্রখ্যাত শামরাও পারুলেকর এবং গোদাবরী পারুলেকর।
কালওয়ান কেন্দ্র থেকে ১৯৭৮ সালে মাত্র ২৯ বছর বয়সে প্রথম জয়ী হন জে পি গাভিট। তিনি অতীতে সুরগণা কেন্দ্র থেকে ৬ বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ডিলিমিটেশনের পর কালওয়ান কেন্দ্র থেকে একবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এই অঞ্চলের প্রভাবশালী সিপিআইএম নেতা এবং আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে প্রথম সারির নেতৃত্ব। ২০১৮ সালে আদিবাসী ও কৃষকদের নাসিক থেকে মুম্বাই লংমার্চে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। নাসিক, থানে, পালঘর প্রভৃতি জেলায় জে পি গাভিটের ভালোরকমের প্রভাব আছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন