

ষষ্ঠ দফায় ভোট চলছে দিল্লির সব কটি কেন্দ্রেই। এদিন ভোট দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ভোটের পর কালি দেওয়া আঙুল সহ নিজেদের ছবি তুলে তা এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ারও করেন তাঁরা।
শনিবার সকালে ভোট দিয়ে বেরিয়ে নির্মাণ ভবনের সামনে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সেলফি তোলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং বিদায়ী সাংসদ রাহুল গান্ধী। এরপর রাহুল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মায়ের সঙ্গে তোলা কিছু ছবি শেয়ার করেন।
ভোট দেওয়ার পর দেশবাসীদের উদ্দেশ্যে রাহুলের বার্তা, “ভোটের প্রথম পাঁচ দফায়, আপনারা মিথ্যা, বিদ্বেষ এবং অপপ্রচারকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আজ ষষ্ঠ দফায় আপনার প্রতিটি ভোট নিশ্চিত করবে যে: আগামী দিনে ৩০ লক্ষ সরকারি শূন্যপদে যুবসমাজের নিযুক্তি, প্রথম বছরে স্থায়ী পদে এক লক্ষ নিযুক্তি। দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ৮৫০০ টাকা জমা পড়া শুরু হয়েছে। ঋণমুক্ত হবেন কৃষকরা, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য মিলবে। শ্রমিকরা দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি পাবেন।“
রাহুল আরও লেখেন, “আপনার ভোট শুধু আপনার জীবনকে উন্নত করবে না, গণতন্ত্র ও সংবিধানকেও রক্ষা করবে। গণতন্ত্রের এই মহান উৎসবে মা ও আমি ভোট দিয়ে অবদান রেখেছি। আপনাদের সকলেরও উচিত আপনার অধিকার এবং আপনার পরিবারের ভবিষ্যতের জন্য ভোট দেওয়া।“
এছাড়া এদিন ভোট দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তাঁর পরিবার। ভোট দিয়ে বেরিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে ছবি পোষ্ট করে কেজরিওয়াল লেখেন, “বাবা, স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে আজ ভোট দিয়েছি। আমার মায়ের শরীর খুব খারাপ। তিনি আসতে পারেননি। স্বৈরাচার, বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছি। আপনাদেরকেও ভোট দিতে যেতে হবে।“
উল্লেখ্য, ১ জুন পর্যন্ত অন্তবর্তী জামিনে ছাড়া পেয়েছেন কেজরিওয়াল। ওই দিনই সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট। ভোট মিটলে ২ জুন তাঁকে ফের আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৪ জুন ভোট গণনা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন