

রবিবার সাতসকালে ধুন্ধুমার বেধে গেল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়। এদিন সকালেই ওই এলাকায় প্রচারে যান দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রচারে বাধা দেওয়া হলে বচসায় জড়িয়ে পড়েন মীনাক্ষী মুখার্জি, সায়রা শাহ হালিম, সব্যসাচী চ্যাটার্জি সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্ব। সিপিআইএমের অভিযোগ, প্যামফ্লেট বিলি করতেও বাধা দিচ্ছে পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় কেন প্রচার করা যাবে না? এই কেন্দ্রের প্রার্থী-সহ তিন জন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে প্যামফ্লেট বিলি করতে যাবেন বলাতেই পুলিশের পক্ষ থেকে আটকে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন, তাঁর পাড়াতেই গণতন্ত্রের এই হাল।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) এক ভিডিও পোষ্ট করে মীনাক্ষী লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের নমুনা। দক্ষিণ কোলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে সি পি আই এম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিমকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পাড়ায় (হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিট) ভোট প্রচারে পুলিশের বাধা।"
এদিন নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মীনাক্ষী মুখার্জি। তিনি বলেন, "নির্বাচন কমিশনকে চার বার ফোন করার পরেও ফোন ধরা হয়নি। কমিশন ঘুমোচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া তাঁর জমিদারি নয়। পুলিশের ছাতা ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো দু'পা হেঁটে দেখান এই রাজ্যে।"
যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই আটকানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের সামনে বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম বলেন, "আমার হাতে কিছুই নেই। তাও আটকানো হচ্ছে। তাও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না আমাকে।" তিনি আরও বলেন, আসলে ভয় পেয়ে আমাকে আটকানো হচ্ছে। এখানে অনেকে নিজেদের পুলিশ বলছেন যাঁদের কোনও ইউনিফর্ম নেই, ব্যাজ নেই।
আইনজীবী এবং হাওড়া কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক প্রচার করা আমার অধিকারের মধ্যে পড়ে। সেটাকে আটকানো হচ্ছে। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, একজন নাগরিককে, একজন এভাবে পুলিশ বাধা দিতে পারেনা। আমার অধিকার আছে ভারতবর্ষের যে কোনও জায়গায় আমি যেতে পারি। আমি জানিনা কোন আইনে এভাবে আটকানো যায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন