
ঝাড়খন্ডে বিধানসভা নির্বাচনের মুখেই কংগ্রেস শিবিরে ভাঙন ধরালো বিজেপি। ঝাড়খন্ড কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি মানস সিনহা সোমবারই কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে। এদিনই গেরুয়া শিবিরে তাঁকে স্বাগত জানান আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং ঝাড়খন্ড বিজেপির কার্যকরী সভাপতি রবীন্দ্র রাই।
এদিন বিজেপিতে যোগ দেবার পরেই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা মানস সিনহা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আমি গত ২৭ বছর ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলাম এবং দলের পক্ষে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু এখন আর এই দলে একনিষ্ঠ কর্মীদের কোনও সম্মান নেই। তাই আমি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ঝাড়খন্ডের রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মানস সিনহা। তিনি গারওয়া কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী ছিলেন। যদিও তাঁকে মনোনয়ন দেয়নি কংগ্রেস। কারণ ইন্ডিয়া মঞ্চের আসন রফার সূত্র অনুসারে এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)।
কংগ্রেস সম্পর্কে অভিযোগ তুলে ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, কংগ্রেস দলীয় কর্মীদের কোনও মর্যাদা দেয় না। যে সব কর্মীরা সারা জীবন ধরে কংগ্রেস করে এসেছেন তাদের কংগ্রেস কোনও গুরুত্ব দেয়না।
তিনি আরও বলেন, মানস সিনহার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করবে ঝাড়খন্ড বিজেপি এবং নির্বাচনে জয়লাভের চেষ্টা করবে। এদিন মানস সিনহা জানিয়েছেন, তিনি কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
হিমন্ত বলেন, ঝাড়খন্ড কংগ্রেস তিনভাবে এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন বিলি করেছে। প্রথমত যারা টাকা দিতে পেরেছেন তাদের প্রার্থী করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত যাদের প্রভাবশালী মহলে যোগাযোগ আছে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে এবং তৃতীয়ত যারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে কুকথা বলেন তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খন্ড বিধানসভার জন্য আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর – দু দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ফলাফল ঘোষিত হবে আগামী ২৩ নভেম্বর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন