

বৃহস্পতিবার পাঁচ বাম প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় আলিপুরে। মুখোমুখি বচসায় জড়ায় বাম ও তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খায় পুলিশ। পরে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। সপ্তাহের ব্যস্ত দিনে দুই দলের বচসায় দুর্ভোগ সাধারণ মানুষের।
বৃহস্পতিবার বিশাল মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যান পাঁচ বাম প্রার্থী। তাঁরা হলেন - যাদবপুরের সিপিআইএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য, ডায়মন্ড হারবারের সিপিআইএম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান, দক্ষিণ কলকাতার সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম, মথুরাপুরের সিপিআইএম প্রার্থী শরৎচন্দ্র হালদার এবং জয়নগরের আরএসপি প্রার্থী সমরেন্দ্রনাথ মণ্ডল। সেই উদ্দেশ্যে সকাল ১০ টায় হাজরা মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল।
মিছিল হাজরা থেকে আলিপুর ট্রেজ়ারি বিল্ডিংয়ের দিকে এগোয়। সিপিআইএমের অভিযোগ, কালীঘাট সেতুর কাছে যখন মিছিল পৌঁছয়, তখনই মাইকে তৃণমূলের প্রচারের গান বাজতে থাকে। তা শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকেরা। মিছিল গোপালনগরে পৌঁছাতেই উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।
তৃণমূলের অভিযোগ, বাম সমর্থকরা ‘চোর চোর’ স্লোগান দিতে শুরু করে। যা শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তাদের কর্মী-সমর্থকেরাও। তাদের মাইকের তার ছিড়ে দিয়েছে সিপিআইএম।
দু’পক্ষ মুখোমুখি হতেই বচসা শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা হাতাহাতিতে পৌঁছায়। কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। সরিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল কর্মীদের। বাম প্রার্থীরা ট্রেজ়ারি বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকে যান। এরপর মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকেরা। পর্যাপ্ত পুলিশও ছিল না বলেও অভিযোগ ওঠে।
সূত্রের খবর, বামেদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল সকাল ১০ টায়। অন্যদিকে, আজ মনোনয়ন দেবে দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় এবং যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। তাঁদের জন্য সময় ধার্য করা হয়েছিল বেলা ১২ টায়। মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে বাম ও তৃণমূলের বচসায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় আলিপুরে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন