

গত তিনদিন ধরে আগ্রাতে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। জলমগ্ন গোটা শহর। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে তাজমহলের ছাদ চুঁইয়েও পড়ছে জল। হাঁটুজল জমেছে তাজমহল প্রাঙ্গণের বাগানেও।
জানা যাচ্ছে, প্রবল বৃষ্টিতে জলে ডুবে গিয়েছে তাজমহলের একটি বাগান। গোটা এলাকা জুড়ে শুধু জল আর জল। তবে তাতে উৎসাহী পর্যটকদের কমতি নেই। এবিষয়ে ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণের (এএসআই) আগ্রা বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে তাজমহলের মূল গম্বুজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ছাদ বেয়ে চুঁইয়ে পড়ছে জল। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই।
শনিবার এএসআইয়ের মুখ্য সুপারিনটেন্ডেন্ট রাজকুমার পটেল বলেছেন, ‘‘তাজমহলের মূল গম্বুজের ফুটোটি আমাদের নজরে এসেছে। পরিদর্শনের পর প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এটি ক্ষয়ের ফলেই তৈরি হয়েছে। স্থাপত্যে বড়সড় কোনও ক্ষতি হয়নি। আমরা ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে গম্বুজের অবস্থা খতিয়ে দেখেছি। এখনই চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’
মোঘল সাম্রাজ্যের একটি অন্যতম স্থাপত্য আগ্রার তাজ মহল। যা দিল্লি শহর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ইউনেস্কো দ্বারা অনুমোদিত বিশ্বের ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থানগুলির অন্যতম এটি। প্রতি বছর অগণিত মানুষ যান তাজমহল দর্শনে। স্থানীয় এক গাইড জানাচ্ছেন, তাজমহলকে ঘিরেই তাঁদের অনেকের কর্মসংস্থান। ফলে সরকারের উচিত এই স্মৃতিস্তম্ভের যথাযথ যত্ন নেওয়া।
উল্লেখ্য, গত তিন দিন ধরে ভারী বৃষ্টিতে ভিজছে দিল্লি এবং আগ্রা। শহরের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও জলমগ্ন রাজ্যের বিস্তীর্ণ মফস্সল এবং গ্রাম। কোথাও কোথাও ডুবেছে চাষজমি। জলে ডুবেছে জাতীয় সড়কও।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন