সাহিত্য আকাদেমিতে সিন্ডিকেট রাজ চলছে, বিস্ফোরক দাবি তুলে পদত্যাগ কবি অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস-এর

তিনি পিপলস রিপোর্টার-কে জানিয়েছেন, ‘৩০ ডিসেম্বর ২০২১ সালে সাহিত্য একাদেমির জন্য এমন একটি বইকে নির্বাচন করা হয়েছে, আমি মনে করি যার নির্বাচন প্রক্রিয়ার পদ্ধতিটাই ধোঁয়াশা যুক্ত।’
কবি অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস
কবি অনাদিরঞ্জন বিশ্বাসফাইল ছবি ইউটিউবের সৌজন্যে
Published on

কলকাতার বাংলা সাহিত্য অকাদেমিতে সিন্ডিকেট রাজ চলছে। বিভিন্ন বিষয়ে স্বজন পোষণ চলছে। এমনকি, সোমবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্ম-জয়ন্তীতে বাংলা কবিতাকে ‘অপমান’ করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার সাহিত্য একাদেমির কলকাতার বাংলা উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিশিষ্ট কবি অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস।

একইসঙ্গে তিনি ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ও নাট্যকার ব্রাত্য বসুকে যে ‘সাহিত্য একাদেমি’ দেওয়া হয়েছে, তার নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। পিপলস রিপোর্টার-এর প্রতিনিধিকে তিনি জানান, ‘৩০ ডিসেম্বর ২০২১ সালে সাহিত্য একাদেমির জন্য এমন একটি বইকে নির্বাচন করা হয়েছে, আমি মনে করি যার নির্বাচন প্রক্রিয়ার পদ্ধতিটাই ধোঁয়াশা যুক্ত।’

অনাদিরঞ্জন বিশ্বাসের পদত্যাগপত্র
অনাদিরঞ্জন বিশ্বাসের পদত্যাগপত্রছবি সংগৃহীত

কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, ‘আরটিআই (RTI) করে আমি জানতে চেয়েছিলাম, অ্যাডভাইসারি বোর্ডের বর্তমান ৯ জন সদস্যরা কাদের নাম প্রস্তাব করেছেন। কিন্তু, হাতে আসা তথ্যে দেখলাম, গ্রাউন্ড লিস্ট ২০২০ এবং ২০২১-তে যে ৬৫ টি বইয়ের নাম আছে, তাতে ‘মীরজাফর ও অন্যান্য নাটক’ বইয়ের নাম নেই। তারপরেও অন্য উপায়ে এই বইটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পরে ১১ মার্চ, দিল্লিতে সাহিত্য একাদেমির জেনারেল কাউন্সিলে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে, কেউই কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।’

এরপরেই তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, 'গতকাল (রবীন্দ্র জয়ন্তীতে) কলকাতায় যে জিনিসটা হয়েছে, তা চূড়ান্ত বালখিল্যতা। যদিও এটি বাংলা একাদেমির ব্যাপার। তবে বাংলা একাদেমির যারাই এই পুরস্কারের জন্য নির্বাচক কমিটিতে আছেন, তাদেরই কয়েকজন সাহিত্য একাদেমির বাংলা বোর্ডেও আছেন।' শেষে তিনি বলেন, 'সংস্কৃতে একটি কথা আছে, যার বাংলা হল - দুর্জনকে সবসময় পরিহার করা উচিত।'

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in