

সতীদাহ প্রথা বিলোপকারী রাজা রামমোহন রায় নাকি হিন্দু বিরোধী! এমনই মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা এম নাগেশ্বর রাও। গত শনিবার ছিল ভারতের নবজাগরণের পথিকৃৎ রাজা রামমোহন রায়ের ২৫০তম জন্মবার্ষিকী। একদিকে গোটা দেশ তাঁর জন্মবার্ষিকী পালন করছে। অন্যদিকে, তাঁকেই এভাবে হিন্দু-বিরোধী তকমা দিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে।
বাঙালি-বিদ্বেষী মন্তব্য করে প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা নতুন কিছু নয়। এবার প্রাক্তন সিবিআই কর্তার বাঙালি মনীষীকে নিয়ে কুৎসা ছড়ানোর এহেন মন্তব্য ঘিরে ঝড় উঠেছে বাঙালি মননে। প্রতিবাদে তোলপাড় বঙ্গ সমাজ।
নাগেশ্বর রাওয়ের টুইট, ‘আমাদের পাঠ্য বইয়ে একজন ঐতিহাসিক চরিত্রকে কীভাবে ফুটিয়ে তোলা হবে, তা নির্ভর করছে তিনি কতটা হিন্দুবিরোধী ছিলেন, তার উপর। অর্থাৎ, তিনি যতটা হিন্দু বিরোধী হবেন, তাঁর সম্পর্কে ততটা বেশি শেখানো হবে। অন্যদিকে, হিন্দুত্ববাদীদের ততটাই দূরে সরিয়ে রাখা হবে। এই নিক্তিতেই রাজা রামমোহন রায় ও ঋষি অরবিন্দ ঘোষকে বিচার করা দরকার।’
ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলেছে, বাংলার মনীষীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এটা কি কোনও চক্রান্ত? রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে অন্য কথা শোনা যাচ্ছে। তাদের মতে, বরাবরই হিন্দুত্বকে ঢাল করে খবর হওয়ার চেষ্টা করেছেন প্রাক্তন এই আইপিএস।
গত বছর ২৫ ডিসেম্বর শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো নিয়ে তিনি কটাক্ষ করেছিলেন। নাগেশ্বর টুইট করে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন একজন হিন্দু অধ্যাপক তাঁকে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানাবেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি একজন হিন্দু, আমি মনে করি আপনিও একজন হিন্দু। তাহলে এই শুভেচ্ছা বার্তার অর্থ কী? আমাদের ভগবত গীতা জয়ন্তী উদযাপন করা উচিত।’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন