রাজ্যে পরিবর্তন আসন্ন - দুর্নীতির ঘটনায় পৃথিবীর সামনে বাংলার মাথা হেঁট হয়ে গেছে - পবিত্র সরকার

রাজ্য সরকারের মদতে নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানালেন বুদ্ধিজীবীরা। শনিবার বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই আবেদন জানানো হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে বুদ্ধিজীবীরা
সাংবাদিক সম্মেলনে বুদ্ধিজীবীরা নিজস্ব চিত্র

রাজ্য সরকারের মদতে নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানালেন বুদ্ধিজীবীরা। শনিবার বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই আবেদন জানানো হয়। আগামী সোমবার ২ আগস্ট বুদ্ধিজীবীদের পক্ষ থেকে দুর্নীতি বিরোধী এক মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, পরিচালক অনীক দত্ত প্রমুখ।

সাংবাদিক সম্মেলনে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ২০১১ সালের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে যত নিয়োগ হয়েছে তার সবটাতেই দুর্নীতি। পিএসসি-র খোলনলচে বদলে দিয়ে তৃণমূলের লোক দিয়ে পরিচালিত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমি পার্থবাবুর সঙ্গে একমত। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে। সরকারি স্কুলের ব্যাপারে অনীহা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র।

শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, রাজ্যে আরও একটা পরিবর্তন আসন্ন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর কাছে বাঙালিদের মাথা হেঁট হয়ে গেছে।

অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের চুপ করে থাকার অর্থ খুব গভীর। এঁরা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।

এদিন বুদ্ধিজীবীদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “গত কয়েকদিনে সংবাদমাধ্যম মারফৎ সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির যে ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে তা খুবই উদ্বেগজনক। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তার ঘনিষ্টদের ফ্ল্যাট থেকে ইতিমধ্যে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা, বিপুল পরিমাণ সোনা, বিদেশী মুদ্রা ও দলিল উদ্ধার হয়েছে। এ রাজ্যের বহু যুবক কাছ থেকে বেআইনীভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এই টাকা নেওয়া হয়েছে।”

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গান্ধীমূর্তির কাছে যোগ্য চাকরি প্রার্থীর পাঁচশদিন ধরে বসে আছেন স্বচ্ছ নিয়োগের দাবীতে। ২০১১ সালের পর থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে এই দুর্নীতি সংগঠিত করা হয়েছে। তৃণমূলের নেতৃত্ব, বর্তমানের শিক্ষামন্ত্রী সহ অন্যান্যরা প্রকাশ্যেই বলেছেন যে তৃণমূল করলে চাকরি পাওয়া যাবে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই দুর্নীতি আসলে এ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার উদ্যোগ। দুর্নীতির কারণে নিয়োগ বন্ধ রেখে এ রাজ্যের স্কুলগুলিকে কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তার সাথেসাথেই কালিমালিপ্ত করা হয়েছে এ বাংলার সাংস্কৃতিক - সামাজিক ঐতিহ্যকে।

বুদ্ধিজীবীরা জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন যথাযথ তদন্ত হলে শাসকদলের আরও বহু নেতার নামও উঠে আসবে। যথাযথ তদন্ত করে দুর্নীতির উৎসমুখকে ধরতে হবে। এই ক্ষেত্রে তদন্তকে দীর্ঘায়িত করলে অনেক প্রকৃত দোষীরাই বাঁচবার পথ পেয়ে যাবে।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in