আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একমাত্র ভারতীয় ভাষা হিসেবে ব্যালটে জায়গা পেল বাংলা

People's Reporter: ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নিউ ইয়র্কে ১ লাখের বেশি বাঙালি বাস করেন। আমেরিকায় থাকা বাঙালির প্রায় ৪০ শতাংশই এই প্রদেশে বাস করেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিস গ্রাফিক্স আকাশ
Published on

চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গণনা। এখনও পর্যন্ত গণনার যা ট্রেন্ড তাতে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ম্যাজিক ফিগারের (২৭০) থেকে সামান্য দূরে রয়েছেন তিনি। আমেরিকায় নির্বাচন হয় ব্যালট পেপারে। সেই ব্যালট পেপারে একমাত্র ভারতীয় ভাষা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে বাংলা ভাষা।

মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এবার বাঙালিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। যাতে পছন্দের প্রার্থীর নাম মাতৃভাষাতে পড়ে ভোট দিতে পারেন তাঁরা। আমেরিকার সব প্রদেশেই আগাম ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। নিউ ইয়র্কের ভোটাররা ভোট দিতে গিয়ে দেখেন বাংলা ভাষায় লেখা রয়েছে প্রার্থীর নাম।

নিউ ইয়র্কে প্রচুর বাঙালি বসবাস করেন। আমেরিকায় থাকা মোট বাঙালির প্রায় ৪০ শতাংশই এই প্রদেশে বাস করেন। যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নিউ ইয়র্কে ১ লাখের বেশি বাঙালি বাস করেন। তাঁদের কথা ভেবেই ব্যালট পেপারে বাংলা ভাষা ছাপানো হয়েছে।

এছাড়া নিউ ইয়র্কে প্রায় ২০০ ভাষাভাষির মানুষ থাকেন। এত ভাষার মধ্যে ব্যালট পেপারে বাংলা জায়গা করে নেওয়া সত্যিই গর্বের। বাংলা ছাড়া ব্যালট পেপারে আরও ৪টি ভাষা ছিল - ইংরাজী, চাইনিজ, স্প্যানিশ এবং কোরিয়ান।

নিউইয়র্ক সিটির বোর্ড অব ইলেকশনের কার্যনির্বাহী পরিচালক, মাইকেল জে রায়ান বলেন, 'আসলে ভারতে একাধিক ভাষা রয়েছে। কোন ভাষাটি রাখা হবে তা নিয়ে মামলা হয়। অবশেষে ঠিক হয় বাংলা ভাষা রাখা হবে'।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় গণনার শেষ যে খবর পাওয়া গিয়েছে তাতে এখনও পর্যন্ত ট্রাম্পের দখলে ২৬৭ ইলেক্টোরাল ভোট এবং কমলা হ্যারিসের দখলে ২১৪ ইলেক্টোরাল ভোট। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোট।

এখনও পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফল অনুসারে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৬,৮০,৫৮,২৯৯ ভোট এবং তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ৬,২৯,৭৩,৯৪৬ ভোট। দু’জনের প্রাপ্ত ভোটের হার যথাক্রমে ৫১.২ শতাংশ এবং ৪৭.৪ শতাংশ।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in