বেঙ্গালুরুতে জ্যোতিষীর নিদানে গুরুতর অসুস্থ এক মহিলাকে চার মাস ধরে গৃহবন্দী রাখা হয়েছিল। অসুখ সারানোর নামে ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণীকে এই সময় হলুদ মেশানো জল ছাড়া আর কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার ওই মহিলাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে জ্যোতিষীর নির্দেশে ওই তরুণীকে এই সময় কোনও খাবার খেতে দেওয়া হয়নি এবং শুধুমাত্র হলুদের জল খেতে দেওয়া হয়েছিল। কোনোক্রমে ওই মহিলা তার ঘনিষ্ঠ মহলে খবর পাঠাতে সমর্থ হন। এরপর বৃহস্পতিবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেঙ্গালুরুর লাগেরে এলাকায় ওই মহিলার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
এদিন হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরে জানা যায় ওই মহিলা ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাঁকে আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকার বাসিন্দারা ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের অন্ধ বিশ্বাসের জন্য তিরস্কার করে।
এরপরেই তাঁরা ওই জ্যোতিষীর কাছে যায় এবং তাঁকে মারধোর করে। পরে তাকে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
চার মাস আগে ওই মহিলার পিঠে হঠাৎই ব্যাথা শুরু হয় এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওষুধ খাওয়া সত্ত্বেও ব্যথা না কমায় তাঁর ভাই একজন জ্যোতিষীর পরামর্শ নেন।
জ্যোতিষীর পরামর্শমত ওই মহিলাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয় এবং শুধুমাত্র হলুদের জল লেবুর ফোঁটা মিশিয়ে খেতে দেওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হওয়ায় তিনি কোনোমতে পরিস্থিতি জানিয়ে তাঁর এক বন্ধুকে খবর পাঠান।
বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে মহিলা ও শিশু কল্যাণ বিভাগের আধিকারিকরা অভিযান চালায় এবং অসুস্থ মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত চলছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন