

শুক্রবার বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত হন। সেখানে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে কাশীর প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, কাশী একটি প্রাচীনতম শহর, যা সময়ের থেকেও পুরোনো। পাশাপাশি তাঁর দাবি, তরুণ প্রজন্ম কাশীকে ভালোভাবে রক্ষা করছে।
এদিন মোদী বলেন, “কাশী শুধুমাত্র আমাদের বিশ্বাসের তীর্থস্থান নয়, এটি ভারতের চিরচেতনার জাগরণ কেন্দ্র। যে ভাষাগুলি আমাদের জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতার উন্নতিতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে, তার মধ্যে সংস্কৃত হল সবচেয়ে বিশিষ্ট।“
এরপর প্রধানমন্ত্রী বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা একটি যন্ত্র মাত্র। যখন আমরা মহাদেবের আশীর্বাদ পাই, তখন উন্নয়ন ও অগ্রগতি অনিবার্য হয়ে ওঠে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে তরুণ প্রজন্ম জাতিকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে। কাশী গত দশ বছরে যা উন্নয়ন দেখেছে তা একটি কফি টেবিল বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে আরও অগ্রগতি দেখতে পাবেন।”
তিনি আরও বলেন, “এটি শিবের শহর এবং বুদ্ধেরও শহর। আদিশঙ্করাচার্যও এখানে জ্ঞানলাভ করেছিলেন। মানুষ শান্তির সন্ধানে কাশীতে আসে। প্রতিটি প্রদেশ ও প্রতিটি ধর্মের মানুষ কাশীতে এসে বসতি স্থাপন করে। যেখানে এই ধরনের ব্যবস্থা বিদ্যমান সেখানে স্বাভাবিকভাবেই নতুন ধারণার জন্ম হয়।”
প্রধানমন্ত্রী এদিন বারাণসীর হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংসদ সংস্কৃত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এদিন এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন মোদী। এদিন তিনি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি, তাঁদের সঙ্গে ছবিও তোলেন। এবং পরে তিনি জানান, নমো অ্যাপে এই সমস্ত ছবি তাঁরা পাবেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গুজরাট থেকে সোজা নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গেছে, লোকসভা ভোটের আগে শুক্রবার নিজের কেন্দ্রে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। তবে তার আগে রাতেই বারাণসীতে পৌঁছে আচমকাই বেরিয়ে পড়েন নাইট ওয়াকে। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন