

সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের বিজ্ঞাপনে পশ্চিমবঙ্গে বাম আমলে কাজ শুরু হওয়া উড়ালপুলের ছবি ব্যবহার করে সমালোচনার মুখে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন! রবিবার সকাল থেকেই যোগী সরকারের উন্নয়নের এই বিজ্ঞাপন নিয়ে সরগরম নেটদুনিয়া। নেটনাগরিকদের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিজ্ঞাপনে বিগত বাম আমলে কাজ শুরু হওয়া কলকাতার 'মা' উড়ালপুলের ছবিকে উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ বলে প্রচার করা হয়েছে।
রবিবার বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় যোগী সরকারের একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। যার শিরোনামে লেখা রয়েছে - 'TRANSFORMING UTTAR PRADESH UNDER YOGI GOVERNMENT'। এই শিরোনামের নীচে পাতা জুড়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবি। পাতার নীচে দুটি ছবি রয়েছে, যেগুলোকে যোগী সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ হিসেবে দাবি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এই দুটির মধ্যে একটি কলকাতার 'মা' উড়ালপুলের ছবি, বাম জমানায় যার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ৮.১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়ালপুলের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয় এবং বিভিন্ন বাধা কাটিয়ে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু হয়। লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩০ মাসের। যোগী সরকারের বিজ্ঞাপনে মা উড়ালপুলের পাশে থাকা হোটেলের ছবিও রয়েছে বিজ্ঞাপনের ছবিতে। উড়ালপুলের ওপরে হলুদ ট্যাক্সি চলতেও দেখা যাচ্ছে ছবিতে।
এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক কটাক্ষ ধেয়ে আসছে। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারকে নিয়ে রসিকতা শুরু করেছেন নেট নাগরিকরা। বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করেছেন সাংবাদিক রোহিণী সিং। যিনি এই বিজ্ঞাপনের ছবি সহ ট্যুইটে লিখেছেন – ‘কলকাতার রাস্তা চুরি করেছেন ঠিক আছে, কলকাতার বাড়ি চুরি করেছেন ঠিক আছে। কিন্তু যোগীজী নিজের বিজ্ঞাপন থেকে হলুদ ট্যাক্সিও সরাননি।’ উল্লেখ্য, কলকাতার রাস্তায় হলুদ ট্যাক্সি চলাচল করে। রোহিণী সিং-এর এই ট্যুইট এখনও পর্যন্ত ১৭৮০টি রিট্যুইট হয়েছে এবং ৬,৪১৩ জন এই ট্যুইট লাইক করেছেন।
রোহিণী সিং-এর ট্যুইটের উত্তরে অরুণ নামক এক ব্যক্তি লিখেছেন – আজ থেকে কলকাতার নাম লখনৌ।
এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের পক্ষ থেকে দুপুর ১২.৩৫ মিনিটে এক ট্যুইট করে জানানো হয়েছে – উত্তরপ্রদেশ সম্পর্কিত এক বিজ্ঞাপনে সংবাদপত্রের মার্কেটিং বিভাগের ভুলে ভুল ছবি ছাপা হয়েছে। এই ভুল অত্যন্ত দুঃখজনক এবং সমস্ত ডিজিটাল এডিশন থেকে এই ছবি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন