
শুক্রবার আগরতলায় নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে বামফ্রন্ট। ইশতেহারে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতির উল্লেখ রয়েছে। সরকারে এলে সবগুলি নির্দিষ্ট সময়ে পালন করা হবে বলেই বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
বামফ্রন্টের ইশতেহারে দরিদ্র থেকে চাকরিজীবী সকলের জন্যই একাধিক প্রকল্পের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে পেনশন প্রকল্পেও। কার্যত বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে তারা। বামেদের ইশতেহারে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় এলে সকল ধর্ম-বর্ণ সম্প্রদায়ের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজেদের ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকার নির্বিঘ্নে ভোগ করতে পারবেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি হবে।
তাছাড়া সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ কৃষির প্রয়োজনীয় উপকরণ ভর্তুকিতে কৃষি বীজাগার এবং সমবায়ের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। আধুনিকভাবে উন্নত ঝুম চাষের জন্য প্রকৃত ঝুম চাষীদের সাহায্য করা হবে। সরকারি শূন্যপদ পূরণে এবং নতুন নিয়োগে ধারাবাহিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাজ্যে কোনো সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারিকরণ করা হবে না। ত্রিপুরাতে ছাঁটাই করে দেওয়া ১০,৩২৩ শিক্ষকদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ করা হবে। পুরনো পেনশন প্রকল্প পুনরায় চালু করা হবে এবং বছরে দুবার মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে।
ইশতেহারে এও বলা হয়েছে, অনিয়মিত ও চুক্তিবদ্ধ কর্মচারীদের নিয়ম মেনে নিয়মিত করা হবে। পুলিশ, টিএসআর, হোমগার্ড এবং এসপিওদের রেশনমানি ও পোশাক ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। বিভিন্ন সরকারি কর্ম প্রকল্পে কর্মরতদের ছাঁটাই করা হবে না। বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। মাসে ৫০ ইউনিটের কম বিদ্যুৎ খরচ করা পরিবারের বিদ্যুতের ব্যয় সরকার বহন করবে। দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ জনমুখী প্রশাসন নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ত্রিপুরা সিপিআই(এম)-র সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, আমাদের ইশতেহারে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। কারণ গত ৫ বছরে আমরা দেখেছি বিজেপির অত্যাচারে ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও স্বাধীনতা ছিল না। তাছাড়া সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে কমপক্ষে ২.৫ লক্ষ কর্মসংস্থান করব।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন