শেষলগ্নে এসে পৌঁছেছে লোকসভা নির্বাচন। আর দুই দফার ভোট বাকি। তার আগে বিজেপিকে প্রচারণামূলক বক্তৃতা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নির্দেশ, এমন কোনো বক্তব্য রাখা উচিত নয়, যা সমাজকে বিভক্ত করতে পারে। পাশাপাশি কংগ্রেসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অগ্নিবীর বা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের মতো বিষয়কে প্রচারে তুলে আনা যাবে না।
কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, "রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের প্রার্থীদের আচরণের জন্য প্রাথমিক দায়িত্ব নিতে হবে, বিশেষ করে তারকা প্রচারকদের। দলের শীর্ষ নেতাদের এই প্রচারাভিযানের বক্তৃতার উপর নজর দিতে হবে।"
কমিশনের জানিয়েছে, ভারতের আর্থ-সামাজিক সাংস্কৃতিক পরিবেশ নির্বাচনের জন্য যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
কমিশনের নির্দেশ, দলের তারকা প্রচারকদের মডেল কোড নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। কোনও দল বা প্রার্থী এমন কোনও কার্যকলাপে অন্তর্ভুক্ত হবেন না যা বিদ্যমান পার্থক্যকে বাড়িয়ে তুলতে পারে বা পারস্পরিক বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে পারে। অথবা বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় বা ভাষাগত উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মডেল কোড লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রথমে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিরোধীরা। কিন্তু বেশ কয়েকদিন পরেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় কমিশনের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। এরপর বিজেপির তরফ থেকেও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়। এরপর উভয় দলের প্রধানকে নোটিশ পাঠায় নির্বাচন কমিশন। তারপর এই বিবৃতি দিয়েছে।
নির্বাচনের প্রতিটি পর্বের পর প্রেস ব্রিফিং করার যে প্রথা চালু ছিল দেশে, এবার তা না করায়, সেই নিয়েও নির্বাচন সংস্থার সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন