

লোকসভা ভোটের জন্য অবশেষে বিহারের বিরোধী ‘মহাগাটবন্ধন’ জোট আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করল। শুক্রবার বিহারের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অখিলেশ প্রসাদ সিংয়ের উপস্থিতেতে আরজেডি মুখপাত্র মনোজ ঝা আসনরফার কথা ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, বিহারের ৪০ টি কেন্দ্রের মধ্যে আরজেডি ২৬, কংগ্রেস ৯, সিপিআইএমএল (লিবারেশন) ৩, সিপিআইএম ১ এবং সিপিআই ১টি আসনে লড়বে। মনোজ শুক্রবার বলেন, ‘‘জোটের অন্দরে আলোচনার পরে আমরা সর্বসম্মত ভাবে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করেছি।’’
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিহারের পূর্ণিয়া আসনটি ‘প্রভাবশালী’ নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ পাপ্পু যাদবকে দেওয়ার দাবি জানালেও, আরজেডি ওই আসনটি ছাড়েনি। পূর্ণিয়া আসনটি সদ্য আরজেডি-তে যোগ দেওয়া জেডিইউ বিধায়ক বীমা ভারতীকে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। কাটিহারে তারিক আনোয়ারকে আসন ছাড়া নিয়ে এখনও আরজেডি ও কংগ্রেসের মধ্যে চলছে টানাপোড়েন।
অন্যদিকে, বিহারের ঔরঙ্গবাদ আসনটিও কংগ্রেসের নিখিল কুমারকে ছাড়তে রাজি হয়নি আরজেডি। এই নিয়ে ক্ষোভ শুরু হয়েছে বিহার কংগ্রেসের মধ্যে। ওই আসনটি কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। ওই কেন্দ্রে চারবারের সাংসদ ছিলেন নিখিলের বাবা বিহারের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্রনারায়ণ সিংহ। এমনকি নিখিলের স্ত্রীও ভোটে জিতে ওই কেন্দ্রে সাংসদ হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ –এর লোকসভা নির্বাচনে বিহারের ৪০ টি আসনের সমঝোতা হয়ে একটি আসনে পেয়েছিল কংগ্রেস। সেটা কিষাণগঞ্জ। এছাড়া আরজেডি ও অন্যান্য আঞ্চলিক দল একটি আসনেও জিততে পারেনি। সেবার বিজেপি বিহারে ৪০ টার মধ্যে ৩৯ আসনে জিতেছিল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন