

লোকসভা নির্বাচন পর্ব মিটতে না মিটতেই মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তৎপর বিজেপি। সূত্র অনুসারে, শুক্রবার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ম্যারাথন মিটিং করেছে বিজেপি। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের নির্বাচনী কৌশল ঠিক করতে দীর্ঘ এই বৈঠক হয়। এই বছরেরই অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় থাকলেও অনেকটাই শক্তিক্ষয় হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরের। রাজ্যের ৪৮ লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র ৩০ আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী মহাবিকাশ আঘাদি জোট। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও মূল্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের জয় সুনিশ্চিত করতে এখন থেকেই তৎপর বিজেপি শিবির।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে বিজেপির আসন সংখ্যা ২৩ থেকে কমে ৯ হয়েছে। এনডিএ শিবিরের বিজেপি, একনাথ শিন্ধের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি-র জোট মাত্র ১৭ আসনে জয়লাভ করেছে।
জানা গেছে, শুক্রবার দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ধরে বিজেপির বৈঠক চলে। মূলত কীভাবে নির্বাচনী প্রচার করা হবে, কোন কোন ইস্যু তুলে আনা হবে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিজেপি সূত্র অনুসারে, আগামী কয়েক দিনে আরও কয়েকটি বৈঠক করা হবে এবং দ্রুত নির্বাচনী পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয়ে যাবার পর শরিকদের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বিজেপির এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে প্রমুখ। এছাড়াও এই বৈঠকে ছিলেন, পঙ্কজা মুন্ডে, রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে, মুম্বাই শাখার প্রধান আশিস শেলার প্রমুখ।
২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বর্তমানে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৪। ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে অবিভক্ত শিবসেনা ৫৬ আসনে জয়ী হলেও মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বিতর্কের জেরে উদ্ধব ঠাকরে এনডিএ ত্যাগ করেন এবং কংগ্রেস ও এনসিপি-র সমর্থনে সরকার গঠন করেন। যদিও ২০২২ সালে শিবসেনা ভেঙে যায় এবং একনাথ শিন্ধের নেতৃত্বে শিবসেনার দুই তৃতীয়াংশ বিধায়ক এনডিএ শিবিরে যোগ দেয়। এরপরেই মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আঘাদি সরকারের পতন ঘটে। পরবর্তী সময়ে এনসিপি-র বেশ কিছু বিধায়ককে সঙ্গে দিয়ে দল ভাঙেন অজিত পাওয়ার এবং এনডিএ শিবিরে যোগ দেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন