

ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে গত এক বছরে মানুষের জীবনযাত্রার মান খারাপ হয়েছে। এবিপি-সিভোটার-আইএএনএস স্টেট অফ স্টেটস সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। প্রসঙ্গত, আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, মণিপুর এবং পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে।
সমীক্ষা অনুযায়ী, গত এক বছরে জীবনযাত্রার মান সবথেকে খারাপ হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ভোটারদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন শেষ একবছরে তাঁদের জীবনযাত্রার মানে উতরাই এসেছে।
উত্তরপ্রদেশের পরেই রয়েছে কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাব। রাজনৈতিক টানাপোড়েনে বিধ্বস্ত পাঞ্জাবের ৫৮.৫ শতাংশ ভোটার মনে করেন ২০২১ সাল থেকে তাঁদের জীবনযাত্রার মান খারাপ হতে শুরু হয়েছে।
এরপরেই রয়েছে বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য উত্তরাখণ্ড। শেষ পাঁচ বছরে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন হওয়া উত্তরাখণ্ডে ৫৫.৭ শতাংশ মানুষ মনে করেন তাঁদের জীবনযাত্রার মানে পতন এসেছে।
মণিপুরের ৫১.৩ শতাংশ ভোটার মনে করেন শেষ এক বছরে তাঁদের জীবনযাত্রার মান নিম্নমুখী। তালিকায় সবথেকে নীচে থাকা গোয়ার ৪৮.৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন তাঁদের জীবনযাত্রার মানে অবনতি এসেছে।
জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে, উত্তরপ্রদেশে এরকম বিশ্বাস করা মানুষের সংখ্যা ২৩.২ শতাংশ। পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়ায় এই সংখ্যা যথাক্রমে ১৩.৮ শতাংশ, ১১.৭ শতাংশ, ২৪ শতাংশ এবং ২১.৮ শতাংশ।
গত বছরের সাথে এই বছরের জীবনযাত্রার কোনো পার্থক্য আছে কি, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এই প্রশ্নের উত্তরে 'না' জানিয়েছেন এরকম মানুষের সংখ্যা উত্তরপ্রদেশে ১৭ শতাংশ। উত্তরাখণ্ডে এই প্রশ্নের উত্তরে না জানিয়েছেন ৩২.৭ শতাংশ মানুষ। পাঞ্জাব, গোয়া এবং মণিপুরে এই সংখ্যা যথাক্রমে ২৫.৩ শতাংশ, ৩০ শতাংশ এবং ২৪ শতাংশ।
পাজাবের ২.৫ শতাংশ মানুষের জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো ধারণা নেই। অর্থাৎ সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২.৫ শতাংশ মানুষ এই প্রশ্নের উত্তরে "বলতে পারবো না" অপশনটি বেছে নিয়েছেন। বাকি চারটি রাজ্যের কেউই এই অপশনটি বেছে নেয়নি।
পাঁচটি রাজ্য মিলিয়ে সমীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছিলেন ৯৮,১২১ জন ভোটার। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ৫০,৯৩৬ জন, পাঞ্জাবে ১৮,৬৪২ জন, উত্তরাখণ্ডে ১৩,৯৭৫ জন, গোয়ায় ১৩,০৪৮ জন এবং মণিপুরে ১,৫২০ জন রয়েছেন। পাঁচ রাজ্যের মোট ৬৯০টি আসনে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।
- With IANS Inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন