বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার বিরুদ্ধে কর্ণাটকের ভোটারদের হুমকি দেবার অভিযোগ আনলো কংগ্রেস। বুধবার কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জে পি নাড্ডার এক বক্তৃতার অংশ ট্যুইট করে এই অভিযোগ এনেছেন। বিজেপি সভাপতির বক্তব্যকে রমেশ ‘গণতন্ত্রের ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন। আগামী ১০ মে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন। ফল ঘোষণা হবে ১৩ মে।
ওই ভিডিও ক্লিপের সঙ্গে নিজের ট্যুইটে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আরও লেখেন, "নাড্ডাজী, ভক্তিরও সীমা থাকা উচিৎ। কর্ণাটকের মানুষকে ধমক দিচ্ছেন কেন? কেন ভয় দেখাচ্ছেন? কর্ণাটকের মানুষের আশীর্বাদে কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় আসছে।"
জয়রাম রমেশ ছাড়াও কংগ্রেসের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকেই বিজেপি সভাপতির বক্তব্যের কিছু অংশ ট্যুইট করা হয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ওই ট্যুইটে বলা হয়েছে, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা কর্ণাটকের মানুষ যদি ৪০% দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপি সরকারকে ভোট না দেয় তাহলে তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেবার হুমকি দিচ্ছেন।
কংগ্রেসের অভিযোগ, এই ঘটনা গণতন্ত্রের ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ এবং এতেই স্পষ্ট বিজেপি কান্নাডিগাদের সঙ্গে কীরকম আচরণ করতে চায়। কংগ্রেস আরও জানিয়েছে, আমরা কোনো রাজার অধীনে নেই, আমরা এক যুক্তরাষ্ট্রীয় দেশের অংশীদার এবং সংবিধানের অধীন।
কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে জে পি নাড্ডার একই ভিডিও ট্যুইট করে লিখেছেন, যখন সমস্ত কৌশল ব্যর্থ হচ্ছে তখন বিজেপি ভোটারদের হুমকি দেবার রাস্তায় হাঁটছে। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা কীভাবে কর্ণাটকের মানুষকে বলতে পারেন যে তাঁরা বিজেপিকে ভোট না দিলে মোদীর আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হবে? গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী কী মানুষকে আশীর্বাদ করেন নাকি তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালেন করেন? মানুষকে মোদী কোনো দয়া করছেন না, মানুষ তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করছেন।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় নাড্ডা, শুধু আপনার দুর্নীতিবাজ ৪০% কমিশন সরকারকে ভোটে পরাজিত করার কারণে কর্ণাটকে এই হুমকি আপনি দিচ্ছেন? ৪০ আপনার প্রিয় সংখ্যা বলে মনে হচ্ছে – ৪০% কমিশন, ৪০ জনেরও বেশি বিদ্রোহী - এবং আসন্ন নির্বাচনে আপনাদের ৪০টি আসনও কমিয়ে দেওয়া হবে।"
"ক্ষমতায় এত উন্মত্ত হবেন না মিঃ নাড্ডা এবং অবশ্যই কর্ণাটক এবং রাজ্যের আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন জনগণকে হেয় করবেন না। আপনাকে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।