

হিমাচল প্রদেশে ৩ বিধানসভা এবং এক লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে অসাধারণ ফল করেছে কংগ্রেস। ক্ষমতাসীন বিজেপিকে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে চারটি আসনেই জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের কয়েকমাস আগে কংগ্রেসের এই জয় যথেষ্ট চাপে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে।
হিমাচল প্রদেশের আরকি, ফতেহপুর ও জুব্বল-কোটখাই বিধানসভা কেন্দ্র এবং মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের প্রচারের দায়িত্ব ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
পরাজয়ের দায় স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকদের সামনে তিনি জানিয়েছেন, "যেহেতু প্রচারের নেতৃত্বে আমি ছিলাম তাই এই পরাজয়ের দায় আমি স্বীকার করছি।" নিজের ট্যুইটারেও একথা জানিয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, "জনমত স্বীকার করছি। আজ মান্ডি লোকসভা এবং আরকি, ফতেহপুর ও জুব্বল-কোটাখাই বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। জনগণের রায় মাথা পেতে নিচ্ছি আমি। কংগ্রেসের বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন। এই পরাজয় নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করবো এবং ভবিষ্যতের রোডম্যাপ তৈরি করে ঘাটতি পূরণ করবো।"
তবে উপনির্বাচনে জিতেছে মানে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস জয়ী হবে একথা মানতে নারাজ জয়রাম ঠাকুর। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, "আজ কংগ্রেস জিতেছে, তার মানে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তারা জিতবে তা বলা যায় না। আমরা প্রায়ই দেখে থাকি যে দল মিড-টার্ম ইলেকশনে হেরে যায় তারাই ফাইনাল ইলেকশনে জয়ী হয়।"
জুব্বল-কোটখাই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী নীলম সেরাইকের জামানত জব্দ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ২,৬০০-র কাছাকাছি ভোট পেয়েছেন। এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন রোহিত ঠাকুর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন