

গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দলত্যাগ করেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। অনেকেই নির্দল হিসেবে লড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। বিক্ষুব্ধদের এই হুমকিতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে বিজেপি। সূত্রের খবর, অসন্তুষ্ট নেতাদের নিয়ে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দেওয়া 'ভালোবাসা ও সমবেদনা' সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বিজেপি।
১৮২টি আসনের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের (Gujarat Assembly Election) জন্য প্রথম দফায় ১৬০ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। ৩৮ জন বিদায়ী বিধায়ককে এবার টিকিট দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার জেরে গুজরাটের কমলামে বিজেপির সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন কর্মী।
বিজেপির দলীয় সূত্রের খবর, বিদ্রোহী নেতাদের সাথে কথা বলার জন্য রাজ্য নেতৃত্বের তরফে একটি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে টানা ৫ ঘণ্টার বৈঠক করেছেন অমিত শাহ। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
দলের এক নেতার কথায়, অমিত শাহ বলেছেন - বিদ্রোহী নেতারা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। ভালোবাসা এবং সহানুভূতির সাথে সাথে তাঁদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন।
বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের মধ্যে একজন হলেন গুজরাটের ওয়াঘোদিয়া কেন্দ্রের ছয় বারের বিধায়ক মধুভাই শ্রীবাস্তব। টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ২৫ বছর আগে তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়া ভুল হয়েছিল। মূলত নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের চাপাচাপিতে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতার কথায়, দলের প্রতি নেতাদের এই ধরণের বিরক্তি প্রকাশের ঘটনা কখনও দেখিনি। অবিলম্বে এর মোকাবিলা প্রয়োজন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবারের নির্বাচন ত্রিমুখী লড়াইয়ে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সেই আশঙ্কায় বাড়তি সর্তকর্তা অবলম্বন করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৯৯টি আসন জিতেছিল বিজেপি এবং কংগ্রেস পেয়েছিল ৭৭টি আসন। তবে, কংগ্রেস থেকে বেশ কিছু বিধায়ক পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় বিজেপির আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১১১।
গত নির্বাচনে গুজরাটে সেরকম প্রভাব ফেলতে পারেনি আম আদমি পার্টি (AAP)। কিন্তু পরবর্তীকালে দিল্লি এবং পাঞ্জাবে ক্ষমতা দখল করে তারা। যে কারণে গুজরাটে রাজনৈতিক পালাবদলের ক্ষেত্রে যথেষ্ট আশাবাদী কেজরিওয়ালের দল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন