গোয়া নির্বাচনের আগে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে দ্বৈরথকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চান না প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। বিজেপি ক্ষমতায় এলে চিদম্বরমের ইস্তফা দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে মুখ খুলতে চাননি চিদম্বরম। জানিয়েছেন, তিনি কোনওরকম বাদানুবাদ চান না।
সম্প্রতিই গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট নিয়ে নানা কানাঘুষো শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেস সভানেত্রীকে জোট গড়ার জন্য মেসেজ করেছিলেন বঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলি তিনি এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছিলেন সোনিয়া। কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত মতামত জানা যায়নি। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে কংগ্রেস জোটে রাজি নয়। তৃণমূল বিশ্বস্ত জোট সঙ্গী নয় বলেই কংগ্রেস মনে করছে।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কংগ্রেস বিজেপির থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে না পারলে গোয়ায় কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা পি চিদম্বরমের পদত্যাগ করা উচিত। তৃণমূলের তরফে প্রাক-নির্বাচনী জোটের প্রস্তাব নিয়ে চিদম্বরমের কাছে যাওয়া হলেও, কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এরপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পবন বর্মা কংগ্রেস নেতা জোট নিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন বলে দাবি করেন। বলেন, 'আমি ২৪ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টা নাগাদ দিল্লিতে পি চিদম্বরমের বাড়ি গিয়ে দেখা করি। গোয়া নিয়ে সমঝোতার প্রস্তাব দিই। বলেছিলাম যে, বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আমাদের একজোট হতে হবে। এক ঘণ্টা আলোচনার পরও উনি কোনও জবাব দিতে পারেননি।'
তৃণমূলের আক্রমণের পাল্টা কংগ্রেস জানায়, 'তৃণমূল এমন এক জোটসঙ্গী, যাকে ভরসা করা যায় না।' শনিবার অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রী বলেন, 'আমি একজন বিনয়ী কংগ্রেস কর্মী। অন্য দলের সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়াই না।'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।