

বাম আমলে চাকরী পেতে কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর। বিজেপি প্রার্থীর আরও দাবি, বাম আমলে পোস্টিংয়ের জন্য কাউকে এক কাপ চাও খাওয়াতে হয়নি।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। নিয়োগ মামলায় আপাতত জেল বন্দি রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী-বিধায়করা। এই ইস্যুতে ভোটের ময়দানে নেমে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। আর এই আবহে নিয়োগ নিয়ে বাম আমলকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন বিজেপি প্রার্থী।
এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় দেবাশিস ধর জানান, “বাম আমলে যতটুকু সময় চাকরি করেছি, খুব কম সময়ই করেছি, আজকে যেমন বলা হয় শাসক ঘনিষ্ঠ, তখন আমিও বেশকিছু উল্লেখযোগ্য পদে ছিলাম। পোস্টিং করার জন্য কাউকে এককাপ চায়েরও অফার দিতে হয়নি। জীবনে আমি ৫টি চাকরি পেয়েছি। ৫টি চাকরি পাওয়ার জন্য আমার বাবা মাকে কোনও দিন ৫ টাকাও খরচ করতে হয়নি।“
বিজেপি প্রার্থী আরও বলেন, “বাম আমলে যাঁরা সরকারের ধারক বাহক ও মাথা ছিলেন তাঁরা অত্যন্ত শিক্ষিত মানুষ ছিলেন। তাঁরা ভালো ভালো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে এসেছিলেন। আইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিদ্যায় দক্ষতা ছিল তাঁদের।“
তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি দলেরই মতাদর্শ থাকে। কিন্তু যেটা যাদের দুর্বলতা ও যেটা যাদের স্ট্রং পয়েন্ট, সেটা আমাদের মেনে নিতে হয়। বাম আমলে যতটুকু চাকরি করেছি, একটা জিনিস দেখেছি, আমার সঙ্গে হয়ত কারও মতভেদ হয়েছে, সেই মতভেদ আর একজন নেতাকে গিয়ে যদি বলতাম, অন্তত তিনি কথাটা শুনতেন।“
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন