ভোট সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে চুক্তিভিত্তিক সরকারি কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ জানালো সিপিআইএম। সিপিআই(এম)-এর চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল সিইও, পশ্চিমবঙ্গ আরিজ আফতাবের সাথে দেখা করে এই বিষয়ে অভিযোগ জানান। সিপিআইএম-এর অভিযোগ, বেশ কিছু চুক্তিভিত্তিক রাজ্য সরকারী কর্মচারী ভোটের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছে।
সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, রবীন দেব জানিয়েছেন, ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিজ্ঞাপন তৈরির সঙ্গে যুক্ত এক কর্পোরেট সংস্থার কর্মীরাও ভোটের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন।
রবীন দেব আরও জানান, নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের কোনও মূল্যেই ভোট-সম্পর্কিত দায়িত্বগুলিতে যুক্ত করা যাবে না।
CPI(M) নেতৃত্বের অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের মতো কিছু জেলায় গণ পরিবহন ব্যবস্থার সাথে যুক্ত যানবাহনে শাসক দলের ফেস্টুন এবং ব্যানার লাগানো হচ্ছে।
বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত কোনো গাড়িতে পোস্টার-ব্যানার লাগানো থাকলে তা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ব্যয় হিসেবে গণ্য করা উচিত বলেও বাম নেতৃত্বের দাবি।
গতকালের ডেপুটেশন শেষে সিপিআইএম নেতা শমীক লাহিড়ী বলেন, সিইও অফিস থেকে অসত্য রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। তৃণমূল রেডিওতে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। যে বিজ্ঞাপনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন। এই বিজ্ঞাপনের অনুমতি কীভাবে দেওয়া হল? যিনি এই অনুমতি দিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবেনা?
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বাড়ির সামনে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। অথচ সুবিধা অ্যাপে দেখা যাচ্ছে ওই সময় ওই অঞ্চলে প্রচারের অনুমতি নেওয়া ছিল। শমীক লাহিড়ির অভিযোগ, জেলাতে আধিকারিকরা সরাসরি পক্ষপাতিত্ব করছেন। আমরা বলেছি যারা আপনাদের রিপোর্ট দিচ্ছে তারা অসত্য রিপোর্ট দিচ্ছেন।
গতকাল সিপিআইএম-এর ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন রবীন দেব, শমীক লাহিড়ী, কল্লোল মজুমদার এবং সুখেন্দু পাণিগ্রাহী।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন