আগামী ৪ জুন ভোট গণনা। সেদিন প্রত্যেকটি গণনা কেন্দ্রেই থাকবে সিসি ক্যামেরা। এমনই জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি থাকবে ভিডিওগ্রাফারও। কারণ, যদি গণনা পদ্ধতি নিয়ে চ্যালেঞ্জ হয়, তাহলে সেই ফুটেজ কমিশনের কাছে থাকবে।
পাশাপাশি, গণনার দিন গণনাকেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন। প্রথম স্তরে থাকবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তরে থাকবে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র ও লাঠি বাহিনী। এছাড়া কমিশন জানিয়েছে, একটি গণনাকেন্দ্রে কমপক্ষে ৮০ জন বা এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকবে। গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা।
বৃহস্পতিবার গণনা নিয়ে ভোটের কাজে যুক্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং অন্য অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের কর্তারা। উল্লেখ্য, ইভিএম-ভিভিপ্যাট এবং গণনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশয় প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। সেকারণে ভোটের দিন থেকেই স্ট্রং রুমের পাশে রাজনৈতিক দল গুলিকে শিবির করার অনুমতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
পাশাপাশি, লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভাভিত্তিক কিছু সংখ্যক ভিভিপ্যাট আচমকা মিলিয়ে দেখারও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। লটারির মাধ্যমে প্রতিটি বিধানসভায় পাঁচটি করে ভিভিপ্যাট বেছে নেওয়া হবে। মিলিয়ে দেখা হবে জমা পড়া ভোটদানের স্লিপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইভিএমে ভোটদানের ফলাফল। যান্ত্রিক কারণে কোনও ইভিএম-থেকে গণনা করা সমস্যা হলে, তার সঙ্গে যুক্ত ভিভিপ্যাটে জমা পড়া ভোটদান স্লিপ গণনা করা হবে।
জানা গেছে, পঞ্চম দফার ভোটে ৭৬২-র মধ্যে ৬১৩ কোম্পানি ব্যবহার করা হবে। ষষ্ঠ দফার ভোটে ১০২০ কোম্পানির মধ্যে ব্যবহার হবে ৯১৯ কোম্পানি। শুধু কলকাতার জন্যই থাকছে ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য পুলিশ মোতায়েন হবে মোট ১৯ হাজার ৯৪৯ জন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন