আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের বঞ্চনার টাকা নিয়ে বিজেপিকে শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের মুখে শ্বেতপত্র প্রকাশ করল বিজেপি। তবে সেই শ্বেতপত্রে উল্লেখ নেই আবাস যোজনা বা ১০০ দিনের কাজে কত টাকা দেওয়া হয়েছে।
শ্বেতপত্রে গোটা দেশের কোন রাজ্যের কোন লোকসভায় মোদী সরকারের কী কী প্রকল্প হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে ‘শ্বেতপত্র ডট ইন’ নামে একটি পোর্টাল করা হয়েছে। সেই পোর্টালে প্রকাশ করা হয়েছে সমস্ত তথ্য।
তৃণমূলের তরফ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ টাকা পাঠায়নি মোদী সরকার। ভোটের মুখে বিজেপির বিরুদ্ধে এটাই হাতিয়ার করেছে তৃণমূল।
গত ১৪ মার্চ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে লেখেন, ‘‘মিথ্যাচার করার জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জনগণের টাকা নষ্ট করছে। আমি বিজেপি নেতৃত্বকে আমার সঙ্গে মুখোমুখি তর্কে বসার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। ২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পগুলিতে এক পয়সাও বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। আমি যে ভুল, তা প্রমাণ করার জন্য বিজেপিকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।’’
২৮ মার্চ অভিষেক ফের নিজের এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “প্রায় দু’সপ্তাহ, ৩৫০ ঘণ্টা হয়ে গেল। কিন্তু বিজেপি এখনও আবাস এবং ১০০ দিনের কাজ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশে আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণে এগিয়ে এল না।” যদিও তখন রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে অভিষেককে জবাব দেওয়া হয়।
অভিষেকের শ্বেতপত্রের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমি যদি বলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জমা দিন, দেবেন মুখ্যমন্ত্রী? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছেন শ্বেতপত্র প্রকাশ করার জন্য। এ কথা তো রাজ্য সরকারের সচিবরা কেন্দ্র সরকারকে বলতে পারলেন না! আদালতে বলতে পারলেন না।”
তবে সেসব তর্ক-বিতর্ক কোনোটাতেই কান দেয়নি বিজেপি। বরং ভোটের মুখে শ্বেতপত্র প্রকাশ করল দল। যদিও এই শ্বেতপত্রে রাজ্যের খাতে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা উল্লেখ নেই। বরং দেশের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে সেখানে কী কী প্রকল্প হয়েছে, সেটাই উল্লেখ করা হয়েছে। এবং বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এটা সঠিক পরিসংখ্যান।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।