‘গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি দেখিয়ে দিয়েছে- কিভাবে ‘বাস্তবতাকে পাল্টে দিয়ে মিথ্যা প্রচার তৈরি করা যায়।’ দলীয় মুখপত্র পিপলস ডেমোক্রেসি (People's Democracy)-তে এমনই অভিযোগ করেছে সিপিআই(এম)।
দলীয় মুখপত্রের সর্বশেষ সংস্করণে দাবি করা হয়েছে, ‘গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচারাভিযান বলে দিচ্ছে- গুজরাট কীভাবে হিন্দুত্ববাদী শক্তির পরীক্ষাগারে পরিণত হয়েছে এবং কীভাবে কর্পোরেট-সাম্প্রদায়িক জোট তৈরি হয়েছে। যা পরে গুজরাট মডেল হিসাবে পরিচিত হয়েছে।’
মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘গুজরাটের বাইরে থাকা অনেক মানুষের কাছে নির্বাচনী প্রচারে অমিত শাহের কিছু বক্তব্য চমকপ্রদ মনে হতে পারে। কিন্তু, তারা (অমিত শাহেরা) জানান দিচ্ছে, কীভাবে বাস্তবতাকে উল্টে দিতে এবং একটি মিথ্যা আখ্যান তৈরি করতে সফল হয়েছে আরএসএস-বিজেপি। শাহ দাবি করেছেন, আসলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ডটি ‘দাঙ্গাকারীদের’ ‘একটি সবক শেখানোর’ পাঠ ছিল। এটি দৃঢ়তার সঙ্গে করেছেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকে গুজরাটে ‘স্থায়ী শান্তি’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’ আসলে, মুসলমানদের কবরস্থানের শান্তিতে পাঠানো হয়েছে।’’
সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকারীদের প্রতি পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারকে নরম ছিল আগেই অভিযোগ এনেছেন শাহ। আর এখন তিনি- স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সংখ্যালঘুদের (মুসলিমদের) বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় গণহত্যাকে ‘দাঙ্গাবাজদের দৃঢ় দমন’ হিসেবে চিত্রিত করছেন।’
‘এই ধরণের বিকৃত চিন্তাভাবনা থেকেই বিলকিস বানো এবং তার পরিবারের সদস্যদের ধর্ষক ও খুনিদের যাবজ্জীবন সাজা মওকুফ করে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছে। গুজরাট সরকারের তথ্য অনুসারে, অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকই ধর্ষকদের সাজা মওকুফের অনুমোদন দিয়েছে।’
পিপলস ডেমোক্রেসি (People's Democracy)-তে বলা হয়েছে, ‘আরেকটি ন্যারেটিভ উঠে এসেছে বিজেপির প্রচারে। যেটি তুলে ধরেছেন মোদী নিজেই। তা হল, দেশবিরোধী বা গুজরাট বিরোধী শক্তিকে সমর্থন করে বিরোধী দলগুলি। ভোট ব্যাঙ্ক এবং তুষ্টির আতসকাঁচে সন্ত্রাসকে দেখার জন্য কংগ্রেস এবং অন্যান্য ছোট দলগুলিকে আক্রমণ করেছেন মোদী। বোঝানোর চেষ্টা চালানো হয়েছে যে, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার নামে সন্ত্রাসবাদের প্রতি নরম মনোভাব দেখায় বিরোধী দলগুলি। তাই, তারা দেশবিরোধী।’
'এটি এমন একটি ধর্মান্ধ দৃষ্টিভঙ্গি, যার উপর ভর করে তিস্তা সীতলাবাদ এবং প্রাক্তন ডিজিপি আর বি শ্রীকুমারকে গ্রেপ্তার এবং জেলে পাঠানো হয়েছে। কারণ, এই মানুষেরা (সীতলাবাদ ও শ্রীকুমার) নির্যাতিতদের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে আইনি পথ বেছে নিয়েছিলেন।'
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।