১০ বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে প্রস্তুত, দাবি অভিষেকের, ‘এদের সব লড়াই লোক দেখানো’, কটাক্ষ সেলিমের

People's Reporter: সেলিম বলেন, "তৃণমূল আর বিজেপি'র লড়াই লোক দেখানো। এখন তৃণমূল আর বিজেপি মানুষের মধ্যে ঝগড়া বাঁধাতে চাইছে। দেশে আগুন লেগেছে। দেশের আগুন নেভানোর জন্য ইন্ডিয়া ব্লক তৈরি হয়েছে।“
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহম্মদ সেলিম
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহম্মদ সেলিম ছবি - সংগৃহীত

বুধবার জলঙ্গীতে ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো ছিল। সেই রোড শোয়ের শেষে বক্তৃতা রাখেন তিনি। সেখানে দাবি করেন তিনি, “বিজেপির আরও ১০ জন শীর্ষ নেতা লাইনে আছেন, সময় হলে দরজা খুলব।“ আর অভিষেকের এই দাবিকে কটাক্ষ করেছেন মুর্শিদাবাদের সিপিআইএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “তৃণমূল বিজেপির লড়াই সবটাই লোক দেখানো।“

বুধবার জলঙ্গীর রোড শো শেষে অভিষেকে বলেন, "আপনারা দল ভাঙানোর খেলা খেলবেন তো? আমাদের দু'জনকে ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। দুটো সাংসদকে। একটা মীরজাফর, একটা গদ্দার, ২০২০ সালে জয়েন করেছিল। তাঁর বাবা আর তাঁর ভাই। সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি'র দু'জন সাংসদ তৃণমূলে যোগদান করেছেন। বাবুল সুপ্রিয় আর অর্জুন সিং। আবার এই ভোটের আগে ইডি'র ভয় দেখিয়ে তাপস রায়কে নিয়ে গিয়েছে বিজেপিতে। প্রার্থী নেই। তৃণমূল থেকে নিয়ে গিয়ে প্রার্থী করছে। আমি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ওদের আর এক জন এমএলএ-কে ভাঙিয়ে তৃণমূলে নিয়ে এসেছি।"

এরপরেই অভিষেক জানান, "এখনও ১০ জন লাইনে আছেন। ঠিক টাইমে দরজা খুলবো।"

অভিষেকের এই বক্তব্যের পাল্টা দেন মহম্মদ সেলিম। এদিন ডোমকল ব্লকের মোমিনপুরে এক সমাবেশে সেলিম বলেন, "তৃণমূল আর বিজেপি'র লড়াই লোক দেখানো। এখন তৃণমূল আর বিজেপি মানুষের মধ্যে ঝগড়া বাঁধাতে চাইছে। দেশে আগুন লেগেছে। দেশের আগুন নেভানোর জন্য ইন্ডিয়া ব্লক তৈরি হয়েছে।“

সেলিম আরও বলেন, “বামফ্রন্ট আর কংগ্রেস এককাট্টা হয়েছে। আমরা বলেছিলাম বিজেপির বিরুদ্ধে সকলে এককাট্টা হোক। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি কখনই বিজেপি'র বিরুদ্ধে যেতে পারেন না। তিনি কংগ্রেস ভেঙে আরএসএস'র টাকায় তৃণমূল তৈরি করেছিলেন। ধর্মকে ব্যবহার করা সংগঠনগুলি মমতার পাশে দাঁড়িয়েছে। এই বাংলায় কোনোদিন সাম্প্রদায়িক শক্তি দাঁত ফোটাতে পারেনি। আরএসএস বাংলায় রাজনীতিতে আসার জন্য মমতাকে সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করেছে।"

এখানেই শেষ নয়। রাজ্যের ২৫,৭৫৩ জনের চাকরী যাওয়া নিয়ে সেলিম এদিন বলেন, "২৫ হাজার জনের চাকরি গিয়েছে আদালতের রায়ে। সবাই অযোগ্য, তা নয়। তৃণমূল সরকার চাকরি চুরি করার জন্য প্রক্রিয়া এমন করেছে যে, আদালতের কানমলা খেয়েও মুখ থেকে কোনও কথা বেরোচ্ছে না। শিক্ষা মন্ত্রী থেকে খাদ্য মন্ত্রী জেলে। শিক্ষা দপ্তরের আধিকারকরা জেলে গিয়েছেন। এই শিক্ষকরা না থাকলে গ্রীষ্মের ছুটির পর পড়াশোনার কী হবে?”

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহম্মদ সেলিম
Lok Sabha Polls 24: নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন নির্বাচন কমিশন! প্রশ্ন কংগ্রেসের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহম্মদ সেলিম
Supreme Court: VVPAT মামলার রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট, ৪ প্রশ্ন নির্বাচন কমিশনকে

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in