

লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনারের দুই শূন্যপদ পূরণ করল নিয়োগ প্যানেল। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োজিত হলেন জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং।
অনুপ পাণ্ডের অবসর এবং অরুণ গোয়েলের পদত্যাগের পর নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। তাঁর পক্ষে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব ছিল না। সেই কারণে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নিয়োগ প্যানেল। এই প্যানেলের বাকি দুই সদস্যের মধ্যে আছেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা।
ওই প্যানেলের চেয়ারপার্সন নরেন্দ্র মোদী এবং দুই সদস্য হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী মিলে ঠিক করেন নতুন দুই কমিশনার হবেন জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং। এই জ্ঞানেশ কুমার হলেন প্রাক্তন আইএএস অফিসার। যদিও দুই নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অধীর চৌধুরী।
কংগ্রেস সাংসদ জানান, তিনি নাকি একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে ২১২ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। গতকাল রাতে সরকারের তরফ থেকে সেই তালিকা প্রদান করা হয় এবং এর মধ্যে দু'জনকে বাছার কথা বলা হয় বলে অধীরবাবু জানান।
যদিও সূত্রের খবর, অধীরকে ২৩৬ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ৯২ জন সচিব হিসেবে অবসর নেন অথবা সমতুল্য কোনো সরকারি পদে থাকতে থাকতেই অবসর নেন। ৯৩ জন সচিব পদে কর্মরত রয়েছেন অথবা সমমর্যাদার পদে চাকরি করছেন। ১৫ জন মুখ্যসচিব হিসেবে অবসর নেন। ২৮ জন রাজ্যের মুখ্যসচিব পদে কাজ করছেন এবং বাকি ৮ জন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব হিসেবে কর্মরত আছেন। এতজনের মধ্যে থেকে ২ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন