Doctors Transfer: ৪৩ চিকিৎসককে বদলির নির্দেশ স্বাস্থ্যদফতরের! ‘আন্দোলনের শাস্তি’, অভিযোগ বিরোধীদের
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। সরকার এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দোষীদের আড়াল করার অভিযোগ উঠছে। ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন পড়ুয়া চিকিৎসকরা। এই আবহেই ৪৩ জন শিক্ষক চিকিৎসককে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে একথা জানানো হয়েছে। জানা গেছে, এই ৪৩ জন চিকিৎসক আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এই পদক্ষেপকে ‘শাস্তিমূলক পদক্ষেপ’ বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। শনিবার দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুণেওয়ালা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘আজ যদি হিটলার, স্তালিন, ইন্দিরা গান্ধী, কিম জংয়ের মতো স্বৈরাচারীরা থাকতেন তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাহবা দিতেন। যে চিকিৎসকেরা আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে হাসপাতালে মহিলাদের নিরাপত্তার দাবি তুলেছিলেন, তাঁদেরকেই বদলি করে দেওয়া হল।’’
যদিও এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য শনিবার বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তাই আমার কিছুই বলার নেই।’’
অন্যদিকে, চিকিৎসক সংগঠন ‘ইউনাইটেড ডক্টর্স ফ্রন্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে ৪৩ জন চিকিৎসকের বদলির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলার রাজ্যপাল আমাদের প্রতিবাদ সমর্থনকারী সদস্যদের অন্যায় ভাবে বদলি করেছেন। এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ কিন্তু ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার জন্য আমাদের দাবি স্তব্ধ করতে পারবে না। আমরা আমাদের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’’
অ্যাসোসিয়েশন অফ হেল্থ সার্ভিস ডক্টর্স-এর সাধারণ সম্পাদক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখন সব ডাক্তারই এই ঘটনার প্রতিবাদে নেমেছেন। তার মধ্যে কেউ কেউ বেশি সক্রিয়। আমাদের প্রোমোশন আটকে আছে। এই রকম পরিস্থিতি চলছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে। তার মধ্যে আমাদের বদলির নির্দেশ কেন?’’
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার আর জি কর হাসপাতালের চার তলার সেমিনার হল থেকে ট্রেনি মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকেই দোষীদের শাস্তি এবং মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে গেছে এই আন্দোলন। দফায় দফায় কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

