

প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বরাত দিয়েছে অন্যান্য দেশ। কিন্তু ভারত জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশ ভ্যাক্সিনের জন্য বরাত দিয়েছে। সিপিআইএম -এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, দেশে টিকার উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। বাধ্যতামূলক লাইসেন্স ব্যবহার করে আরও বেশি সংখ্যক সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। কেন্দ্রে উচিত বিদেশ থেকে টিকা আনার ব্যবস্থা করা। এদিন তিন কোটি টিকা বিদেশ থেকে আনার জন্য গ্লোবাল টেন্ডারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে কেরলের বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকার।
এখন ভারতে সবচেয়ে গুরুতর হয়ে উঠেছে যে বিষয়গুলি, তা হল দেশে টিকাকরণ ছাড়া উপায় নেই। এমনকি টিকা নিলে ঝুঁকি থাকা সত্বেও বিকল্প নেই। অথচ চেয়েও টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। টিকার চাহিদা কমাতে কি এই তৎপরতা কেন্দ্রের? উঠছে প্রশ্ন।
টিকা সরবরাহে কেন্দ্রের গাফিলতি স্পষ্ট। কানাডা বরাত দিয়েছে ৩৩ কোটি ৮০ লক্ষ ডোজের। সে দেশের জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় পাঁচ গুণ এই সংখ্যা। ব্রিটেন বরাত দিয়েছে জনসংখ্যাএ সাড়ে তিন গুণ বেশি। ইইউতে এই সংখ্যা জনসংখ্যার ২.৭ গুণ। আমেরিকায় দ্বিগুণ। ইন্দোনেশিয়া মতো দেশ জনসংখ্যার ৩৮ শতাংশের মতো পূর্ণ টিকাকরণের ডোজের বরাত দিয়েছে।
ভারতের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেন্দ্র বরাত দিয়েছে ৩৪ কোটি ডোজের। অর্থাৎ জনসংখ্যার মাত্র ১২ শতাংশের ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র। বাকি দায়িত্ব রাজ্যের উপর ছাড়া হয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউটকে ২৬ কোটি ডোজ বরাত দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকেই এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে সরবরাহের কথা বললেও সেরাম, ভারত বায়োটেকের উৎপাদন ক্ষমতা তার ধারে কাছে নেই। হায়দ্রাবাদের পাশাপাশি কর্নাটকের নতুন ইউনিট মাত্র ৪-৫ কোটি ডোজ তৈরি করতে পারে। হায়দ্রাবাদ ইউনিটে মাত্র এক কোটি ডোজ তৈরি করা যায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন