গাম্বিয়ার পুনরাবৃত্তি উজবেকিস্তানে, ভারতে তৈরি কাফ সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

মৃত শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে Doc-1 Max নামে সিরাপ খেয়েছিল। শুধু তাই নয়, দিনে তিন থেকে চারবার ২.৫ থে কে ৫ মিলিলিটার করে ডোজ নিয়েছিল। যা পরিমাণের থেকেও বেশি।
উজবেকিস্তানে ভারতের তৈরি কাফ সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
উজবেকিস্তানে ভারতের তৈরি কাফ সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

ফের একবার প্রশ্নের মুখে ভারতের তৈরি কাফ সিরাপ। গাম্বিয়ার পর এবার উজবেকিস্তানে ভারতের তৈরি কাফ সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠলো। এই ঘটনায় ভারতের দিকেই আঙুল তুলছে উজবেকিস্তান প্রশাসন।

শিশু মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তের দাবি জানিয়েছে উজবেকিস্তানের সরকার। প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃত শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ডক-১ ম্যাক্স (Doc-1 Max) সিরাপ খেয়েছিল। শুধু তাই নয়, দিনে তিন থেকে চারবার ২.৫ থেকে ৫ মিলিলিটার করে ডোজ নিয়েছিল তারা। যা সাধারণ পরিমাণের থেকেও বেশি।

উজবেক প্রশাসনের অভিযোগ, সিরাপের নমুনা পরীক্ষা করে ইথাইল গ্লাইকোল পাওয়া গেছে। এই কাফ সিরাপ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই শিশুদের খাওয়ানো হয়েছিল বলে জানা গেছে।

১৮ জন শিশুর মৃত্যুর পরই উজবেকিস্তানের সমস্ত ফার্মেসি থেকে ডক-১ সিরাপটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সময় মতো পরিস্থিতি বিবেচনা ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সাত জন কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সিরাপটি তৈরি করেছিল উত্তরপ্রদেশের নয়ডার মারিয়ন বায়োটেক নামে একটি কোম্পানি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত যৌথ তদন্ত শুরু করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এবং উত্তরপ্রদেশ ড্রাগস কন্ট্রোলিং অ্যান্ড লাইসেন্সিং অথরিটি।

উল্লেখ্য এর আগে, হরিয়ানার (Haryana) মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের তৈরি কাফ সিরাপ খেয়ে ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল গাম্বিয়ায়। ওষুধের ফর্মুলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বর্তমানে এই কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ রেখেছে হরিয়ানা সরকার।

উজবেকিস্তানে ভারতের তৈরি কাফ সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
২ দিনেই বিদেশ থেকে আসা ৩৯ যাত্রী কোভিড পজিটিভ! উদ্বেগে কেন্দ্র, একাধিক সতর্কতা অবলম্বন রাজ্যের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in