

তৃতীয় ঢেউ আসছেই। গবেষক-চিকিৎসকদের আশঙ্কাকে সমর্থন করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ। তা রুখতে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যকে সতর্কবার্তা পাঠাল তারা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা শিথিল হতেই পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় উপচে পড়েছে। পর্যটকদের বেপরোয়া মনোভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।
প্রেস বিবৃতিতে আইএমএ জানিয়েছে, বিশ্বের পরিস্থিতি, অতিমারির ইতিহাস ঘাঁটলেই দেখা যাবে, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। এই পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায়, কোভিড বিধি না মেনেই রাস্তাঘাটে বেরিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের রোখার জন্য সরকার কোনও পদক্ষেপই করছে না। ঘুরতে যাওয়া, তীর্থযাত্রা, ধর্মীয় সমাবেশ— সব জরুরি ঠিকই। কিন্তু তার জন্য আরও কয়েকটি মাস অপেক্ষা করতে হবে। টিকাকরণ ছাড়া জনসমাবেশে অনুমতি তৃতীয় ঢেউকেই দ্রুত ডেকে আনবে। এই সময়ে সচেতন হওয়া আরও জরুরি।
ইতিমধ্যেই ভারতে করোনার ডেল্টা, ডেল্টা প্লাস, বিটা, কাপ্পা প্রজাতীর সংক্রমণ ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের কোভিড গ্রাফ কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। আবারও দৈনিক সংক্রমণের হার নামল ৪০ হাজারের নীচে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ১৫৪ জন। দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগী ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৯৯ জন। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৪৯ জন। রবিবার করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭২৪ জনের।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
