পতঞ্জলির করোনিলের প্রচার নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ব্যাখ্যা চাইলো IMA

IMA-র সভাপতি ডাঃ জয়লাল বলেন, দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে সারা দেশের মানুষের সামনে এই জাতীয় ভুয়ো, অবৈজ্ঞানিক পণ্য প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া এবং ভুল ও মিথ্যে উপায়ে এই পণ্যের প্রচার কতটা নৈতিক?
হর্ষ বর্ধন এবং নীতিন গড়করির উপস্থিতিতে করোনিলের প্রকাশ
হর্ষ বর্ধন এবং নীতিন গড়করির উপস্থিতিতে করোনিলের প্রকাশছবি আচার্য বালকৃষ্ণের ট্যুইটার থেকে সংগৃহীত
Published on

পতঞ্জলির করোনিল নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়লো। সোমবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধনের কাছে করোনিলের প্রচারে অংশ নেবার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের তরফে করোনিলকে 'কোভিড-১৯ নিরাময় সহায়ক' বলে জানানো হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি করোনিলের প্রকাশ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি।

এদিন আইএমএ-র সর্বভারতীয় সভাপতি ডাঃ জয়লাল বলেন, দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে সারা দেশের মানুষের সামনে এই জাতীয় ভুয়ো, অবৈজ্ঞানিক পণ্য প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া এবং ভুল ও মিথ্যে উপায়ে এই পণ্যের প্রচার কতটা নৈতিক ছিল? তিনি আরও বলেন – মানবতার স্বার্থে কিছু কর্পোরেটের একচেটিয়া লাভের জন্য আয়ুর্বেদকে ভেজালে পরিণত করে বিপর্যয় সৃষ্টি করা উচিত নয়।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে করোনিলের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানে রামদেব দাবি করেন - কোভিড প্রতিরোধে ইমিউনিটি বাড়াবে পতঞ্জলির ওষুধ করোনিল। যদিও তখনই এর কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এবং পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করির উপস্থিতিতে ওষুধটি বাজারে প্রকাশ করা হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র দাবি এই ওষুধে অনুমোদন দেয়নি তারা। ১৯ ফেব্রুয়ারি দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাজারে প্রথম প্রমাণ ভিত্তিক করোনার ওষুধ হিসাবে তুলে ধরা হয় করোনিলকে।

অনুষ্ঠানের মঞ্চে হোর্ডিংয়ে লেখা ছিল, এই ওষুধ সিওপিপি এবং ডাব্লুএইচও জিএমপি অনুমোদিত। অর্থাৎ এর ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্টের (সিওপিপি) সার্টফিকেট আছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গুড ম্যানুফ্যাকচারিং অনুশীলন (জিএমপি) দ্বারা স্বীকৃত। যেকোনও ওষুধের ক্ষেত্রে এই দুটি বিষয়ই বিচার্য হয়।

ওইদিনই হু টুইট করে জানায়, তারা কোনও ট্রাডিশনাল ওষুধকে সার্টিফিকেট দেয়নি। আর তাতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। শুক্রবার প্রকাশ অনুস্থান চলাকালীন পতঞ্জলির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রক থেকে করোনিল ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের সার্টিফিকেট পেয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনিল হু থেকেও সার্টিফিকেট পেয়েছে বলে দাবি করেন পতঞ্জলির শীর্ষ আধিকারিক রাকেশ মিত্তল। তিনি এব্যাপারে টুইটও করেন। যদিও পরে সেই টুইট মুছে দেন।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in