

বাঙ্গালোর শহরের অধিকাংশ হাসপাতালে কোনো অক্সিজেন সরবরাহ নেই। যদিও কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন রাজ্য প্রতিদিন ৮১২ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রস্তুত করে। যার মধ্যে মাত্র ২৭৩ মেট্রিক টন খরচ হয়। যদিও মন্ত্রীর দাবির সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই বলেই জানা যাচ্ছে।
ডেকান হেরাল্ডে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য নিযুক্ত নোডাল অফিসার ভাস্করণ জে কে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য এক আধিকারিক জানিয়েছেন তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৩০ টি হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছেন।
ওই প্রতিবেদন অনুসারেই, শহরের চন্দনপুরা অঞ্চলে অবস্থিত আথ্রেয়া হাসপাতালে ২৫ জন কোভিড রোগীর মধ্যে ৫ জনকে অক্সিজেন দেওয়া যাচ্ছে না। এই রোগীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাঃ নারায়ণস্বামীর বক্তব্য অনুসারে, হাসপাতালে আর কিছুক্ষণের মত অক্সিজেন আছে। আমরা রোগীদের পরিবারের কাছে বিষয়টা জানিয়েছি। তাঁরা কান্নাকাটি করছেন কিন্তু অন্য কোনো হাসপাতালে বেড-এর ব্যবস্থা করতে পারছেন না। অক্সিজেন সরবরাহকারীরাও এই মুহূর্তে তাঁদের ফোন করতে বারণ করেছেন। কারণ তাঁদের কাছে এই মুহূর্তে কোনো অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। ডাঃ নারায়ণস্বামীর আরও অভিযোগ, তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে নোডাল অফিসার – সকলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
এই বিষয়ে ফানা-র প্রেসিডেন্ট ডাঃ এইচ এম প্রসন্ন জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সাতটি অক্সিজেন ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারছে ততক্ষণ পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব নয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইউনিভার্সাল এয়ার এবং লিন্ডে নামক সংস্থা হাসপাতালের এই বাড়তি চাহিদা সামাল দিতে পারছে না।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন