হাসপাতালে ভর্তির জন্য কোভিড রিপোর্ট বাধ্যতামূলক নয়, আর যা যা বললো কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা

সংশোধিত নির্দেশিকাতে আরো বলা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরানো যাবে না। দেশের সমস্ত রাজ‍্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
হাসপাতালে ভর্তির জন্য কোভিড রিপোর্ট বাধ্যতামূলক নয়, আর যা যা বললো কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা
ছবি প্রতীকী সংগৃহীত
Published on

এখন থেকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য করোনা রিপোর্টের প্রয়োজন নেই আর। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত সংশোধিত নির্দেশিকাতে একথা বলা হয়েছে। কোভিডে আক্রান্তদের "দ্রুত, কার্যকর চিকিৎসা" নিশ্চিত করতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশোধিত নির্দেশিকাতে আরো বলা হয়েছে, কোনো অবস্থাতেই রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরানো যাবে না। দেশের সমস্ত রাজ‍্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে।

এক ঝলকে নতুন নির্দেশিকাতে উল্লেখযোগ্য যে দিকগুলো সংশোধন করা হয়েছে -

  • কোভিড স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তির জন্য কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক নয়। সন্দেহজনক যে কোনো ব‍্যক্তিকে প্রয়োজন অনুসারে কোভিড কেয়ার সেন্টার (CCC), ডেডিকেটেড কোভিড হেলথ সেন্টার (DCHC) অথবা ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল (DCH)-এর সন্দেহজনক ওয়ার্ডে ভর্তি করতে হবে।

  • কোনোভাবেই রোগীকে ফেরানো যাবে না। রোগী যদি অন্য শহরের বাসিন্দা হয় তাহলেও অক্সিজেন, প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে তাঁকে।

  • যে শহরে হাসপাতালটি অবস্থিত, সেই শহরের বাসিন্দা হিসেবে রোগী যদি কোনো বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে নাও পারে, তাহলেও কোনো রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।

  • কোনো রোগীকে অবশ্যই প্রয়োজনের ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই এমন ব‍্যক্তির হাসপাতাল বেড দখল করে রাখা কখনোই কাম্য নয়। এই বিষয়টি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

  • হাসপাতাল থেকে কোনো রোগীকে ডিসচার্জ করার সময় কঠোরভাবে সংশোধিত ডিসচার্জ নীতি মেনে চলতে হবে।

নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্বল্প লক্ষণ বিশিষ্ট রোগীদের হোস্টেল, হোটেল, স্কুল, স্টেডিয়াম, লজ ইত‍্যাদিতে তৈরি করা কোভিড কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করতে হবে।

দেশে মারাত্মক চেহারা নিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আজ সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪,০১,০৭৮ জন মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৪,১৮৭ জনের।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in