World Yoga Day: সুরাতে যোগ দিবসের অনুষ্ঠান গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিল

বুধবার যোগ দিবস পালনের জন্য শহরের এক জায়গায় ১ লক্ষেরও বেশি মানুষের জমায়েত হয়েছিল। যোগ দিবস উদযাপনের জন্য এর আগে একসঙ্গে এত মানুষ কোথাও জড়ো হননি।
গুজরাতে যোগ দিবস উদযাপন
গুজরাতে যোগ দিবস উদযাপনছবি সৌজন্যে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের টুইটার হ্যান্ডেল

আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে বিশ্ব রেকর্ড গড়ল গুজরাতের সুরাত। বুধবার যোগ দিবস পালন উপলক্ষ্যে শহরের এক জায়গায় ১ লক্ষেরও বেশি মানুষের জমায়েত হয়েছিল। যোগ দিবস উদযাপনের জন্য এর আগে একসঙ্গে এত মানুষ কোথাও জড়ো হননি। তাই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও এই ঘটনা জায়গা করে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন গুজরাতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি।

বুধবার গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি সারা ভারত জুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এদিন সকাল সকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর জন্য বিশেষ বার্তা দিয়ে যোগ দিবসের সূচনা করেন। গোটা ভারতের পাশাপাশি তাঁর নিজের রাজ্য গুজরাতেও এদিন ঘটা করে যোগ দিবস পালিত হল। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল এদিন সুরাতের ডুমাস এলাকায় একটি রাজ্যস্তরের ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জানান, রাজ্যের প্রায় ৭২ হাজারটি জায়গা মিলিয়ে এদিন ১.২৫ কোটি মানুষ যোগ দিবসে অংশগ্রহণ করেছেন। অধিবেশন শুরু করার আগে দেওয়া ভাষণে তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যোগাসনকে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় করেছেন। যোগা এবং প্রাণায়াম কিভাবে করোনাকালে মানুষকে ভালো থাকতে সাহায্য করেছিল, সে কথাও এদিন মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী পটেল।

ওই অনুস্থানেই উপস্থিত ছিলেন গুজরাতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি। যোগ দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া লক্ষাধিক মানুষের উদ্দেশে তিনি জানান, “আজ আমরা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকছি। যোগ দিবসের এই অনুষ্ঠানে সুরাত আজ নজির গড়ল। আগামী দিনে আমরাই বিশ্বকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আজ যোগ দিবস পালনের জন্য লক্ষাধিক মানুষ জড়ো হয়ে বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছে। এক জায়গায় এত মানুষ এর আগে কখনও জমায়েত করেননি।”

সুরাতের ডুমাস এলাকায় এত বড় জমায়েত সামলাতে এদিন আয়োজকরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। প্রতি ১০০০ জন অংশগ্রহণকারীর জন্য একটি করে ব্লক, এই হিসেবে প্রায় ১৩৫টি ব্লক তৈরি করা হয়েছিল। স্কুল পড়ুয়া অংশগ্রহণকারীদের জন্যও ছিল বিশেষ ব্যবস্থা। শহরের ৪২টি বেসরকারি স্কুল থেকে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। এই বিশাল পরিমাণ জমায়েতকে সামলানোর জন্য ২৫০০ স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হয়েছিল। যে রাস্তা জুড়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, সেই গোটা এলাকায় এদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাস পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।

যেহেতু দেশজুড়ে স্বাধীনতার ৭৫ বছরের উদযাপন চলছে, তাই গুজরাত সরকার যোগ দিবস উদযাপনের জন্য ৭৫টি ‘আইকনিক’ জায়গাকে বেছে নিয়েছিল। যার মধ্যে আহমেদাবাদের সবরামতি রিভারফ্রন্ট, কেভাদিয়ার স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, কচ্ছের রণ এবং মোধেরা সূর্য মন্দির অন্যতম।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in