
উচ্চ তাপমাত্রায় বেড়ে ওঠা ডেঙ্গুর ভাইরাস সাধারণের থেকে আরও অনেক বেশি গুরুতর এবং আরও অনেক বেশি ক্ষতিকারক। সম্প্রতি এমন তথ্যই উঠে এসেছে ‘রাজীব গান্ধী সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি’র একদল গবেষকের গবেষণায়। এই রিসার্চের ফলাফল ডেঙ্গু ভাইরাসের তীব্রতা ও ক্ষতিকারক মনোভাবকে আগে থেকে বুঝে নিয়ে অনেকাংশে প্রতিরোধ ও প্রতিশম করতে সাহায্য করবে বলেই জানিয়েছেন এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা। কারণ, ভারতে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুর কোনও প্রতিষেধক সেভাবে প্রচলিত নয়। তবে বুধবার, ভারতের প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক কোম্পানি ‘Indian Immunologicals Limited’ জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের বাজারে ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিষেধক আনতে পারে তারা।
সারা বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন ডেঙ্গুর ঘটনা সামনে আসে। সাধারণভাবে বর্ষাকালেই ভয়াবহ এই মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এডিস মশার কোষের মধ্যেই এই রোগের ভাইরাস DENV-এর জন্ম হয়। ভারতে সেভাবে এর কোনও প্রতিষেধক প্রচলিত নেই। তাই RGCB-এর এই গবেষণা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই গবেষণার একটি রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে আমেরিকার ‘The Federation of American Societies of Experimental Biology’ জার্নালে।
এই নিয়ে ওই গবেষক দলের প্রধান ডঃ ঈশ্বরণ শ্রীকুমার জানিয়েছেন, “অন্যান্য প্রাণীর শরীরের তাপমাত্রা যেমন একটা জায়গায় স্থির থাকে, মশার তেমন হয় না। আকারে এত ছোট প্রাণী হওয়ার দরুন মশাদের শরীরের তাপমাত্রা বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গেই পরিবর্তিত হয়। আমরা এখনও জানি না যে উচ্চ তাপমাত্রায় জন্ম হলে ডেঙ্গু ভাইরাস আরও ক্ষতিকর হয়ে ওঠে কি না। তবে আমাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় আমরা জানতে পেরেছি যে তার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্ন তাপমাত্রার তুলনায় উচ্চ তাপমাত্রায় থাকা মশার কোষে জন্ম হলে DENV ভাইরাসের ক্ষমতা আরও বেশি হয়।"
-With IANS Inputs
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন