এক টাকার ক্লিনিক সম্বলপুরে, দরিদ্র মানুষের চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন ডাঃ শঙ্কর রামচান্দানি

ডাক্তার শঙ্কর রামচান্দানি
ডাক্তার শঙ্কর রামচান্দানিফাইল ছবি ডাঃ শঙ্কর রামচান্দানির ট্যুইটার থেকে সংগৃহীত
Published on

কম করে ২০০-৫০০ টাকা তো বটেই। একটু বেশি নামকরা ডাক্তার হলে বা প্রাইভেট চেম্বার হলে সেই টাকা হাজারও ছোঁয় কখনও কখনও। কেউ সরকারি হাসপাতাল ছাড়া অন্যত্র ডাক্তার দেখানোর কথা ভাবলেই তাঁকে প্রথমে হিসেব করতে হয় ভিজিট নিয়ে। আর জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির মতোই সেই ভিজিটও ক্রমবর্ধমান। আর সেই গতিপথেই এ যেন এক উলটপুরানের গল্প। ডাক্তারি আসলে মানবতার সেবা। সেই পথেই ওড়িশার সম্বলপুর জেলার এক চিকিৎসক দরিদ্র ও বঞ্চিতদের জন্য 'এক টাকা'-র ক্লিনিক চালু করেছেন।

বীর সুরেন্দ্র সাঁই ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ (ভিআইএমএসএআর) এর মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শঙ্কর রামচন্দানি বারলা শহরে এই ক্লিনিক চালু করেছেন। সেখানে রোগীদের মেডিকেয়ার পাওয়ার জন্য মাত্র এক টাকা দিতে হয়। ডেন্টাল সার্জন রামচন্দানির স্ত্রী শিক্ষা রামচন্দানি তাঁকে সাহায্য করেন।

গত শুক্রবার ক্লিনিকটির উদ্বোধন হয়। প্রথম দিনেই ৩৩ জন রোগী ক্লিনিকে আসেন বলে জানান চিকিৎসক। ভুবনেশ্বরের উত্তর-পশ্চিমে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে সম্বলপুরে সরকার পরিচালিত বীর সুরেন্দ্র সাঁই ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ (ভিআইএমএসআর), পূর্বে বুরলা মেডিকেল কলেজ (বিএমসি) এবং বীর সুরেন্দ্র সাঁই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ছাড়া পর্যাপ্ত চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই।

রামচন্দানির কথায়, দীর্ঘদিন তাঁর ইচ্ছে ছিল দরিদ্র ও বঞ্চিতদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তা থেকে একটাকার ক্লিনিক চালু করা। "আমি সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসাবে ভিআইএমএসআরে যোগ দিয়েছি। প্রবীণ রেসিডেন্টদের ব্যক্তিগত অনুশীলন করার অনুমতি নেই। তাই আমি 'এক-রুপি' ক্লিনিক চালু করতে পারিনি। তবে সম্প্রতি সহকারী অধ্যাপক হিসাবে আমার পদোন্নতি হয়। সহকারী অধ্যাপক হিসাবে আমার ডিউটি ​​আওয়ারের পরে আমাকে ব্যক্তিগত অনুশীলন করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এখন আমি ভাড়াবাড়িতে ক্লিনিকটি চালু করেছি,' বলে জানিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক।

তাহলে মাত্র এক টাকা কেন? রামচন্দানি বলেন, 'আমি দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষের কাছ থেকে এক টাকা নিই। তাতে তাঁদের মনে হবে না যে তাঁরা ফ্রি-তে পরিষেবা নিচ্ছেন। তাঁদের মনে হবে, চিকিৎসার জন্য কিছু অর্থ দিয়েছেন।'

ক্লিনিকটি সকাল ৭টা থেকে ৮টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। হাসপাতালে আসা প্রবীণ ও শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষদের অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে হয় চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার জন্য। এবার তাঁদের আর ভাবতে হবে না।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in