NEET 2024: গ্রেস পাওয়া ১৫৬৩ জনের মধ্যে ৪৮ শতাংশই দ্বিতীয়বারের নিট পরীক্ষায় অনুপস্থিত
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৩ জুন, রবিবার ১৫৬৩ জনকে নিয়ে ফের নিট পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। এই ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেস দিয়ে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিটের রিটেস্ট পরীক্ষায় বসলই না ৪৮ শতাংশ পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার শেষে রবিবার সন্ধ্যায় বিবৃতি দিয়ে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)-র তরফে জানানো হয়েছে, ১৫৬৩ জনের মধ্যে মাত্র ৮১৩ জন (৫২ শতাংশ) পরীক্ষায় বসেছিলেন। রবিবার পরীক্ষায় বসেননি বাকি ৭৫০ জন (৪৮ শতাংশ) পড়ুয়া।
নিট পরীক্ষায় অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়েছিল মেঘালয়, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, গুজরাত এবং ছত্তীশগড়ের মোট ছ’টি পরীক্ষাকেন্দ্রে। এই কেন্দ্রগুলিতে পেপার দেরী করে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। রবিবার দেখা গেল চণ্ডীগড়ে দুজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে দুজনই অনুপস্থিত। ছত্তীশগড়ে ৬০২ জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ৩১১ জন অনুপস্থিত। পরীক্ষা দিয়েছে ২৯১ জন।
অন্যদিকে, হরিয়ানার দু’টি পরীক্ষাকেন্দ্র মিলিয়ে ৪৯৪ জন পড়ুয়ার রবিবার পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা দেন ২৮৭ জন। অনুপস্থিত ২০৭ জন। মেঘালয়ে ৪৬৪ জনের মধ্যে ফের পরীক্ষায় বসেন ২৩৪ জন। ২৩০ জন অনুপস্থিত। আর গুজরাতে এক জন। নিটের রিটেস্টের ফল প্রকাশিত হবে ৩০ জুন।
নিট পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই পরীক্ষার্থী থেকে অভিভাবক সকলেই প্রতিবাদ জানায়। সরব হয়েছেন চিকিৎসক মহলের একাংশও। বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র বিবৃতি দিয়ে জানায়, তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয় যে, ১৫৬৩ জন গ্রেস পাওয়া পরীক্ষার্থীকে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে। তাঁদের প্রাপ্ত সমস্ত গ্রেস মার্কস বাতিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পরীক্ষার পেপার দেরী করে দেওয়ার কারণে কিছু পরীক্ষার্থীদের গ্রেস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল এনটিএ।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন নিটের ফল প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ৬৭ জন পরীক্ষার্থী ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বরই অর্জন করেছে। আবার এমন অনেক পরীক্ষার্থী রয়েছে যারা ৭১৭, ৭১৮ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু নেগেটিভ মার্কিং দিলে ৭১৭ বা ৭১৮ নম্বর কোনোভাবেই একজন পরীক্ষার্থী পেতে পারে না। এনটিএ জানিয়েছিল ওই প্রার্থীদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে। তারপরই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের হয়।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

