

বিভিন্ন খাবার বিশেষে অ্যালার্জি দেখা যায় অনেকের। না বুঝেই খাবার খেয়ে বিপাকে পড়েন মানুষ। এবার সেই সমস্যা এড়াতে নয়া নিয়ম আনল রাজ্যে। খেলে অ্যালার্জি হতে পারে এরকম আট (৮)টি খাদ্যদ্রব্য কেনা-বেচার ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম জারি করেছে রাজ্য সরকার।
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে কাঁকড়া, চিংড়িমাছ, কচ্ছপ, শামুক, গরুর-দুধ, বাদাম, সয়াবিন ও গম –এই দ্রব্যগুলিকে ‘অ্যালার্জি প্রোডাক্ট’ হিসাবে চিহ্নিত করতে চলেছে রাজ্য।
সরকারী নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই আটটি পণ্য বিক্রির সময় সতর্কীকরণ হিসাবে ‘অ্যালার্জি’ শব্দটি লেখা থাকতে হবে দ্রব্যের গায়ে। সেই দ্রব্য রান্না করা হোক বা কাঁচা অবস্থায়, উক্ত পণ্যগুলি বিক্রি করতে গেলে এই নিয়ম মানতে হবে। প্রাথমিক ভাবে বড় রেস্তোরাঁতে প্রথমে এই নিয়ম লাঘু করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই তাজপুরে সপরিবারে ঘুরতে গিয়ে সমুদ্রধারে কাঁকড়া খেয়ে প্রাণ হারায় এক বৃদ্ধ পর্যটক। মৃত পর্যটকের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা ১৫ই মে সকালে তাজপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করেন। সেখানেই কাঁকড়া খেয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর শরীরে সমস্যা দেখা দেয়। শ্বাসকষ্ট ও পেটে ব্যথা শুরু হয়। সমুদ্রে নামার পর সেই বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, স্থানীয় চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ধরনের ঘটনা মাঝে-মধ্যেই শোনা যায়। তাই এরূপ ঘটনার হার কমানোর জন্যই এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন