মূল্যবৃদ্ধির জেরে অপুষ্টির শিকার দক্ষিণ এশিয়ার অধিকাংশ মানুষ: রাষ্ট্রসঙ্ঘ

২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের প্রায় অর্ধ বিলিয়ন মানুষ সুষম আহার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়া, ১ বিলিয়নেরও অধিক মানুষ মাঝারি থেকে গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছেন।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
Published on

মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্যের নিরাপত্তাহীনতা, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দারিদ্র। যার জেরে অপুষ্টিতে ভুগছেন এশিয়ার অধিকাংশ মানুষ। মঙ্গলবার, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে রাষ্ট্রসংঘের ‘খাদ্য ও কৃষি সংস্থা’ (FAO)।

রাষ্ট্রসংঘের ‘খাদ্য ও কৃষি সংস্থা’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়া মহাদেশের প্রায় অর্ধ বিলিয়ন মানুষ সুষম আহার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়া, ১ বিলিয়নেরও অধিক মানুষ মাঝারি থেকে গুরুতর খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছেন। ২০১৪ সালে এই প্রবণতা ছিল ২১%। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯%-এ।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহামারী করোনার জেরে কর্মসংস্থানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরপর, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে খাদ্য, শক্তি এবং সারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর, এই দুই সংকটের জেরে সুষম খাদ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

জানা যাচ্ছে, সুষম খাদ্য ও ক্ষুধা নিয়ে টানা পাঁচবার রিপোর্টে নিজেদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ, ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (FAO), ইউনিসেফ (UNICEF), ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (World Food Programme)।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই বছরগুলিতে ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূর করার যে উদ্যোগ নেওয়ার কথা ছিল, তা থমকে গিয়েছে। যার ফলে এক বিশাল সংখ্যক মানুষ সুষম খাদ্য বঞ্ছিত হয়েছেন।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, 'পুষ্টিকর খাদ্য তৈরি এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমাদের কৃষি খাদ্য ব্যবস্থার সংস্কার করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রতি বছর প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলারের খাদ্য আমদানি করে থাকে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল। তবে, চাল, গম এবং তেলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির জেরে দরিদ্রদের উপর কঠিন আঘাত নেমে এসেছে।'

প্রতীকী ছবি
RSS-র সভায় IIEST কর্মীদের জোর করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ, ৫৫০ টাকা দিয়ে পোশাক কিনতে বাধ্য করা হয়েছে

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in