কঠোর ডায়েটেই সুস্থ ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রী! 'বিভ্রান্তি' ছড়ানোয় সিধুকে ৮৫০ কোটির আইনি নোটিশ

People's Reporter: আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিধুর এই দাবি করার প্রমাণ পেশ করতে হবে। অন্যথায় সিধুর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হবে ওই নোটিশে বলে সূত্রের খবর।
নভোজৎ সিং সিধু এবং তাঁর স্ত্রী
নভোজৎ সিং সিধু এবং তাঁর স্ত্রীফাইল ছবি
Published on

কঠোর ডায়েট করে, কাঁচা হলুদ-লেবু জল খেয়ে এবং আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে মারণ রোগ ক্যানসারের চতুর্থ পর্যায়ের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন তাঁর স্ত্রী নভজোৎ কউর। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছিলেন ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার নভোজৎ সিং সিধু। সেই দাবির বিরুদ্ধে ৮৫০ কোটি টাকার আইনি নোটিশ পেলেন তিনি। তবে কিছু সূত্রের দাবি, সিধু নয়, তাঁর স্ত্রীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, ৮৫০ কোটি টাকার আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে ছত্তীশগড় সিভিল সোসাইটি থেকে। ওই সংস্থার আহ্বায়ক ডাক্তার কুলদীপ সোলাঙ্কি অভিযোগ তুলেছেন, ‘এই ধরণের মিথ্যে দাবিগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তাঁদের মধ্যে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ এবং থেরাপি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে বাধ্য করছে। এমনকি এর ফলে ক্যানসার আক্রান্তরা ওষুধ নিচ্ছেন না। যেটা তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে।‘

সূত্রের খবর, প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিধুকে এই দাবির উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করতে হবে। অন্যথায় মিথ্যে দাবি করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য সিধুর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ওই নোটিশে।

উল্লেখ্য, গত ২১ নভেম্বর সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভজোৎ সিং সিধু দাবি করেছিলেন, ‘কঠোর ডায়েট, আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে নভজোৎ অসম্ভবকেও সম্ভব করেছে।‘

সিধু বলেন, ‘আমাদের ছেলের বিয়ের পর নভজোতের শরীরে ক্যানসার আসে। চিকিৎসকেরা বলে দিয়েছিলেন নভজোতের বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ৩ শতাংশ রয়েছে। তবে সে ভেঙে পড়ে নি। সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।‘

সাংবাদিক বৈঠকে কঠোর ডায়েট নিয়েও বিস্তারিত ভাবে বলেন সিধু। তিনি জানান, প্রতিদিন দিনের শুরুতে লেবুজল খেতেন তাঁর স্ত্রী। এর আধ ঘন্টা পর ১০-১২ টা নিমপাতা চিবিয়ে খেতেন। এছাড়া নিয়মিত কাঁচা হলুদ, বেদানা, আমলকি, বিট, আখরোট, লেবুজাতীয় ফল ও বিভিন্ন বেরি খেতেন।

সিধু জানান, তাঁর বাড়িতে সমস্ত রান্না হত নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েলে। এছাড়া, তাঁর স্ত্রীর প্রতিদিনের ডায়েটে থাকত দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, গোলমরিচের মতো মশলা। প্রতিদিন সন্ধ্যে সাড়ে ৬ টায় দিনের শেষ খাওয়ার খেতেন নভজোৎ। এরপর পরেদিন সকাল সাড়ে ১০ টার আগে আর কিছুই খেতেন না তিনি। মূলত, ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ ডায়েট মেনে চলতেন তিনি। এই কড়া ডায়েটের ফলে ২৫ কেজি ওজনও কমিয়েছেন নভোজৎ কউর।

কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার, যেমন ভাত, রুটি, চিনি একেবারেই খেতেন না সিধু-পত্নী। সিধু বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেক টাকা-পয়সা আছে বলে নভজোৎ ক্যানসারকে হারাতে সক্ষম হয়নি, নিয়মানুবর্তিতা ও কঠোর রুটিন মেনে চলেছিল বলেই ও আজ সুস্থ হতে পেরেছে।’

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in