প্রতিমাসে ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের ছুটি বাধ্যতামূলক করা হলে তারা কাজের থেকে দূরে চলে যেতে পারে। এবং এটা তাদের বিরুদ্ধে যেতে পারে। মেয়েদের ঋতুস্রাব চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে ছুটি দেওয়া সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে একথা জানালেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর কথায়, এটা আদালতের হস্তক্ষেপের বিষয় নয়।
ঋতুস্রাবকালীন কর্মক্ষেত্রে ছুটি বাধ্যতামূলক, সোমবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানান, “এই ধরনের ছুটি বাধ্যতামূলক করা হলে কর্মক্ষেত্র থেকে পিছিয়ে পড়তে পারেন মহিলারা। তাঁদের কর্মক্ষেত্র থেকে দূরে রাখা হবে৷ আমরা তা চাই না৷ আমরা নারীদের সুরক্ষার জন্য চেষ্টা করি। এমন কিছু করে যদি তাঁদের অসুবিধা হয়, সেই কাজ আমরা করতে পারি না।“
বিচারপতি এরপরই জানান, “এটি আসলে কেন্দ্রের নীতি নির্ধারণের বিষয়। এটা আদালতের দেখার বিষয় নয়।" বিচারপতি আরও জানান, "আমরা আবেদনকারীকে বিষয়টি মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটির কাছে স্থানান্তর করার অনুমতি দিচ্ছি৷ আমরা সচিবকে অনুরোধ করছি বিষয়টি নীতিগত স্তরে খতিয়ে দেখতে এবং এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িত সমস্ত পক্ষের সাথে পরামর্শ করার পরে সিদ্ধান্ত নিতে।“
আদালত আরও জানিয়েছে, এই নিয়ে কোনও রাজ্য সরকার চাইলে পৃথকভাবে নীতি তৈরি করতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট এতে কোনও বাধা দেবে না।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এই রকম একটি মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই সময় আবেদন করা হয়েছিল, মহিলা, ছাত্রী এবং কর্মচারীদের জন্য ঋতুস্রাবকালীন ছুটির নিয়ম তৈরি করার নির্দেশনা চেয়ে। সেই সময়ও আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিহার এবং কেরালায় ঋতুস্রাবকালীন ছুটি দেওয়া হয়। বিহারে মহিলাদের দু’দিনের ছুটি দেওয়া হয়। অন্যদিকে, কেরালায় মহিলাদের তিনদিনের ছুটি দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন