
আজ থেকে বাড়ছে জীবনদায়ী ওষুধের দাম। পেনকিলার (ব্যথানাশক), অ্যান্টিবায়োটিক, সংক্রমণ রোধ-সহ একাধিক জীবনদায়ী ওষুধের দাম এক লাফে ১২ শতাংশেরও বেশি বাড়ছে। ওষুধের দামের নিরিখে এটি সর্বোচ্চ বার্ষিক বৃদ্ধি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
১ এপ্রিল থেকে মূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকা নির্ধারিত ওষুধের দাম ১২.১২১৮ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমতি আগেই দিয়েছে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA)। এর ফলে ৮০০টি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের পাইকারি মূল্যের দাম বাড়তে চলেছে।
গত বছর, ওষুধের দামে ১০.৭ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমতি দিয়েছিল ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি। মূলত, পাইকারি বিভাগের মূল্যবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেই এই পরিবর্তনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া ড্রাগস অ্যাকশন নেটওয়ার্কের কো-কনভেনর মালিনী আইসোলা (Malini Aisola)। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি এই বৃদ্ধির হার ঘোষণা মূল্য নিয়ন্ত্রণকে বিকৃত করবে। তাই সরকারের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত।’
তিনি জানান, ‘২০১৩ সালের ড্রাগস প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার (DPCO) চালু হওয়ার পর থেকে এবার সর্বোচ্চ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। টানা দ্বিতীয় বছর, হোলসেল প্রাইস ইন্ডেক্স (WPI) ফর্মুলেশনের জন্য বার্ষিক অনুমোদিত মূল্য বৃদ্ধির হার ১০%-এর উপরে চলে গিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের বিপুল বৃদ্ধি নিত্যপ্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এই ওষুধের ক্রয়ক্ষমতা বজায় রাখার স্বার্থে সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত। পর্যায়ক্রমে, উচ্চ দাম বৃদ্ধি অপরিহার্য ওষুধের মূল্য নির্ধারণের উদ্দেশ্যকে ক্ষুণ্ণ করছে।’
এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আকাশছোঁয়া। নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হল জীবনদায়ী ওষুধ। আধুনিক জীবনযাত্রায় রোগের প্রকোপ যেভাবে দিনে দিনে বাড়ছে, ওষুধের এই মূল্য বৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষকে আরও সমস্যায় পড়তে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে ওয়াকিবহাল মহল।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন