
প্রথম দুটি পর্যায় টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষের পথে। ১ মে থেকে শুরু হবে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ। এই পর্বে ১৮ বছরের বেশি বয়সে টিকা দেওয়া হবে। বয়সে উর্ধ্বসীমা কমিয়ে আনার ফলে টিকার প্রয়োজনে বেড়েছে। কিন্তু প্রয়োজনমতো টিকা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ডোজ হাতে নেই বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্যের প্রশাসন।
পরিস্থিতি এমন যে, একদিকে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মিলছে না। ফলে আবেদনকারীদের পর্যাপ্ত ডোজ দেওয়া সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। নতুন পর্যায়ে বুধবার থেকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। প্রথমে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল। শুক্রবার পাওয়া খবর অনুসারে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৪৫ লক্ষ মানুষ ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশেন করিয়েছেন।
এই মুহূর্তে কোন কোন রাজ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের করোনা টিকাকরণ হবে না:
১. ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত ডোজ নেই। তাই মুম্বইয়ে আজ থেকে ৩ দিনের জন্য ভ্যাকসিনেশন বন্ধ হয়েছে৷ বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশন জানিয়েছে, ৪৫+ নাগরিকদের জন্য ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া জারি থাকবে। পাশাপাশি আবেদন জানানো হয়েছে টিকারকরণ সেন্টারে অযথা ভিড় যেন কেউ না করেন৷
২. দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নেই। ভ্যাকসিন পাঠাতে আবেদন করা হয়েছে।
৩. মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তবে ১ মে'র মধ্যে পাওয়া যাবে না। ভ্যাকসিন পেলেই টিকাকরণ শুরু হবে।
৪. ঝাড়খণ্ড সেরাম ও ভারত বায়োটেকের কাছে ২৫-২৫ লক্ষ টিকার অর্ডার দিয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, কেন্দ্রের অর্ডার দিতেই ১৫-২০ মে পর্যন্ত সময় লাগবে। ফলে ঝাড়খণ্ডে ১ মে ভ্যাকসিন সরবরাহ সম্ভব নয়।
৫. বিহারেও ১ মে থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। তবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন