

করোনা মোকাবিলার জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করল কর্ণাটক প্রশাসন। পাশাপাশি ‘নিউ ইয়ার’ পালন করা যাবে রাত ১টা পর্যন্ত। সমস্ত স্কুল, কলেজ, পাব, সিনেমা হল, রেস্তরাঁগুলিতে মাস্ক পরতেই হবে।
উৎসবে মেতেছে গোটা দেশ। নতুন বছর আসতে আর মাত্র কিছু দিনের অপেক্ষা। ৩১ ডিসেম্বরের রাতে অনেকেই বিভিন্ন রেস্তরাঁগুলিতে ভিড় করে পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে বরণ করার জন্য। এই উৎসবের মরশুমে করোনা যাতে না ছড়ায় তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিল কর্ণাটক সরকারের। উৎসবে নিষেধাজ্ঞা জারি না হলেও বেশকিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে জনগণকে। তারই নির্দেশিকা সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বয়স্ক নাগরিকদের ভিড়ে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ছোটো জায়গাগুলিতে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। লোকসংখ্যা বেশি হলে তা বাতিল করা হবে। রেস্তরাঁ, পাব, থিয়েটার হল এই ধরণের স্থানে গেলে মাস্ক বাধ্যতামূলক। রাত ১ টার মধ্যে শেষ করতে হবে নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন। স্কুলগুলিতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। টিকা নেওয়াও বাধ্যতামূলক।
মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, "করোনার কারণে যাতে মানুষ ফের না আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয় সেই জন্যই প্রতিরোধ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। রাজ্যের মন্ত্রিসভায় কোভিড মহামারী নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জনগণের মধ্যে কীভাবে আরও সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যের টীকা প্রদান ক্ষেত্রগুলিতে, ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় রোগ পরীক্ষার সেন্টারগুলিতে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা যায় কিনা তা উপদেষ্টা কমিটিকে ভেবে দেখার আর্জি জানানো হয়েছে।"
কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে আমাদের এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সরকারি নির্দেশিকা পালন করতে হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন