স্বাস্থ্যভবনের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ জুনিয়র ডাক্তাররা। একাধিক দাবি নিয়ে স্বাস্থ্যভবন অভিযান করলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই জানাচ্ছেন 'হতাশ' চিকিৎসকরা। আগামীদিনে আন্দোলন আরও বৃহত্তর করার ডাক দিলেন তাঁরা।
বুধবার একাধিক দাবি নিয়ে স্বাস্থ্যভবন অভিযান করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত পায়ে হেঁটে মিছিল করেন তাঁরা। হাজার হাজার চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন ওই মিছিলে। জুনিয়র চিকিৎসকদের এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের ডাকা কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস।
মিছিলের পর ৪০ জনের প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্যভবনের ভিতরে যান কর্তৃপক্ষের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে। দাবিগুলিকে মান্যতা দেওয়ার জন্য অধিকর্তাদের সাথে দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বৈঠক করেন চিকিৎসকরা। কর্তৃপক্ষকে ১ ঘন্টা সময় দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি স্বাস্থ্যভবন।
বৈঠক শেষে চিকিৎসকরা সাংবাদিকদের সামনে জানান, আমরা হতাশ স্বাস্থ্যভবনের ভূমিকায়। কর্তৃপক্ষ শুধু বলছেন দেখছি, দেখব। এইভাবে বললে কীভাবে হবে? সন্দীপ ঘোষকে ৪ ঘন্টার মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বদলি করার সময় এত কিছু ভেবেছিল স্বাস্থ্যভবন? আমরা কিন্তু কোনো বিচার চাইতে এখানে আসিনি। কারণ আরজি কর কাণ্ডের শুনানি হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। আমরা আমাদের বেশ কিছু দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সুরাহা হয়নি।
তাঁরা আরও জানান, আরজি করে ঘটনা ঘটার রাতে এবং ভাঙচুরের দিন যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন সকলকে অপসারণ করতে হবে। আরজি করের বর্তমান অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল কেন হাসপাতালে আসছেন না? এই প্রশ্ন করেছিলাম আমরা। কিন্তু স্বাস্থ্যভবনের কাছে কোনও উত্তর নেই। স্বাস্থ্যভবন কোথাও হয়তো অসহায়। কোনো চাপের কারণেই অসহায় হয়ে আছে। আমরা কোনও উত্তর পাইনি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন