

কেন্দ্রকে বেশিদিন কম দামে টিকা বিক্রি করতে পারবে না। স্পষ্ট জানিয়ে দিল ভারত বায়োটেক। সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে টিকার দামের ফারাক নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তার ব্যাখ্যা দিতেই সম্ভবত সংস্থার পক্ষ থেকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা হল। প্রসঙ্গত আগামী একুশে জুন থেকে গোটা দেশেই বিনামূল্যে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে।
সরকারি জায়গায় টিকাকরণে কোনও মূল্য লাগছে না। কিন্তু লাইন দিয়ে টিকা নিতে হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালে অবশ্য লাইন দিতে হচ্ছে না। কিন্তু গুনতে হচ্ছে মোটা টাকা। কয়েকদিন আগেও হাসপাতাল অনুযায়ী এই দাম কমবেশি হত। কিন্তু কেন্দ্র থেকে প্রত্যেকটি বেসরকারি হাসপাতালকে টিকার দাম বেঁধে দেয়।
কোভ্যাক্সিনের একটি ডোজের দাম ধার্য হয় ১৪০০ টাকার বেশি। ২১ জুনের আগে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের মোট ৪৪ কোটি ডোজের বরাত দিয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, সেই দাম নিয়ে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করার কথা কেন্দ্রের। সেখানে টিকা উৎপাদক সংস্থাগুলিকে দাম কমানোর প্রস্তাব দিতে পারে সরকার, এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। তার আগেই কোভ্যাক্সিন নির্মাতার তাদের মতামত জানিয়ে দিল।
ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, খুব বেশিদিন তারা কেন্দ্রকে কোভ্যাক্সিনের প্রতি ডোজ ১৫০ টাকায় বিক্রি করতে পারবে না। টিকা উৎপাদন শুরুর আগে পরিকাঠামো তৈরি-সহ একাধিক আয়োজন করতে সংস্থা নিজেই ৫০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। এরপরও এত কম খরচে সরকারকে টিকা বিক্রি করবে কীভাবে, তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে সংস্থার। কম দামে টিকা বিক্রি করলে তাদের খরচে পোষাচ্ছে না। তাই তারা বাধ্য হয়ে বেসরকারিক্ষেত্রে বেশি দামে টিকা বিক্রি করছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন